ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১৩ অক্টোবর পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৩ অক্টোবর পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ১৩ অক্টোবর। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ফারুক খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা জানান।

সেতুমন্ত্রী জানিয়েছেন, এরই মধ্যে পদ্মাসেতুর ৫৭ শতাংশ  কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একইদিন ঢাকা-ফরিদুপর-ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেন এক্সপ্রেসওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার ৬ লেন রাস্তার উদ্বোধনের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে রেললাইনেরও ভিত্তিপ্রস্তুর উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া আনুষঙ্গিক কিছু ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস নির্মাণকাজ এই সময়ে সম্পন্ন হবে না। তবে অন্যান্য কাজের উদ্বোধন করা হবে।

এদিকে, মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ। সেতুর উভয়পাশে সব সড়কপথ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পাঁচটি স্প্যান স্থাপনের পর ৭৫০ মিটার সেতু দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। অন্য কাজগুলোও দৃঢ়ভাবে এগুচ্ছে। সরকার আশাবাদী, এই বৃহৎ অবকাঠামো দেশের জিডিপি অন্তত ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।

২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান স্থাপন করা হয়। তৃতীয় স্প্যানটি স্থাপন করা হয় ১১ মার্চ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্প্যান স্থাপন করা হয় যথাক্রমে ১৩ মে ও ২৯ জুন।

জানা গেছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুটিতে মোট ৪১টি স্প্যান থাকবে, এর প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ১৫০ মিটার। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, ৪২টি পিলারে মোট ৪১টি স্প্যান স্থাপন করা হবে। দেশের বৃহত্তম এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি এই প্রকল্পে কাজ করছেন চীনা, আমেরিকান, ব্রিটিশ, ভারতীয় ও জাপানি নাগরিকরা।

৮৪২টি সেতু ও ৩ হাজার ৫৪৬টি কালভার্ট নির্মাণ
সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৮৪২টি সেতু এবং ৩ হাজার ৫৪৬টি কালভার্ট নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ করেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওয়ার্কাস পার্টির সদস্য বেগম হাজেরা খাতুনের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জন এবং সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৪ হাজার ৫৯১ দশমিক ৮২ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৪ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮২ কিলোমিটার মহাসড়ক কার্পেটিং ও সিলকোট করেছে।

তিনি বলেন, ১ হাজার ৮১৩ কিলোমিটার সড়ক ডিবিএসটি এবং ৬ হাজার ৯২৫ কিলোমিটার সড়ক ওভারলে করা হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মহাসড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় ৩৯টি ফেরিঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। ১২০ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ফেরি ও ৬টি নতুন পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৭টি ইঞ্জিন ও প্রপালশন ইউনিটসহ ২৭টি নতুন ইঞ্জিন সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ৯টি ইঞ্জিন ওভারহলিং এবং ১৯টি ফেরি ২৬টি পন্টুন মেরামত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত ৯ বছরে ৩৭৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া ১০১ দশমিক ৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার মহাসড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ চলমান রয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়