ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামতে পারে সশস্ত্র বাহিনী

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামতে পারে সশস্ত্র বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে  সশস্ত্র  (সেনা, নৌ ও বিমান) বাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনের আগে ও পরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। ভোটের পরেও তারা দুই দিন মাঠে অবস্থান করবেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী। তবে এর আগে ১৫ ডিসেম্বর থেকে পরিস্থিতি অবলোকন (রেকি) করবেন তারা। সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, আগামীকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী কতদিন মাঠে অবস্থান করবে, সে বিষযে সিদ্ধান্ত হবে। ইতোমধ্যে বাহিনীগুলোর সঙ্গে বেশকিছু বৈঠক হয়েছে। কাল সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা কতদিন মাঠে অবস্থান করবে, সে বিষয়টিও কাল চূড়ান্ত হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সূত্রে উল্লেখিত (১) এর নির্দেশনা অনুসারে সূত্রেল্লেখিত (২) এর মাধ্যমে সারা দেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভোটগ্রহণের দুই দিন পূর্ব থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সেই সাথে ২৪-২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ হতে ১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মোতায়েনকৃত স্বশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ব্যাটলিয়ান আনসারের মোবাইল/ স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে।

জানা গেছে, এবারও ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন।

দশম সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৫ দিন মাঠে ছিল। তারা সাধারণ এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন এলাকায় কমিশনারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। ফৌজদারি বিধির আলোকে মোতায়েন করা সেনাবাহিনী ২০১৪ সালের নির্বাচনে মূলত স্ট্রাইকিং বা রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ওই নির্বাচনে সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় একটি ব্যাটালিয়ন (৭৪০ সদস্য) ও প্রতিটি উপজেলায় এক প্লাটুন (৩৫ জন) সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়