ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

রাইজিংবিডি ডেস্ক: ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধকালে দেশের সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে আনসারদের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা তারও আগে।

১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ আজ।

গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ভিডিপি একাডেমিতে দিবসটি কেন্দ্রীয়ভাবে পালিত হবে। এছাড়া দিবসটি একযোগে ৬৪টি জেলাতেও পালিত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে- বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দরবার গ্রহণ।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী হিসাবে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা, জননিরাপত্তা বিধানসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা’-এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সেবার মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি গঠনে অব্যাহত প্রয়াস চালাবে।’

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় জননিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন ছাড়াও নিয়মিতভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ বাহিনীর রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রায় ৬১ লক্ষ সদস্য-সদস্যার এ বাহিনীর তৃণমূল পর্যায়ের অর্ধেক সদস্যই নারী।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানকে ১২ জন বীর আনসার সদস্য ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে এ বাহিনীর চল্লিশ হাজার রাইফেল ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অস্ত্র-শক্তি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করবেন।

সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে আনসার ভিডিপি সদস্যরা সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে সমবেত হয়েছেন।

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে চূড়ান্ত মহড়া শেষ হয়েছে।

বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়