ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সব প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৯টিতে একজন করে প্রার্থী থাকায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন।

শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৪ মার্চ সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভোট গ্রহণ নির্ধারিত হলেও ৪৯টি আসনেই একক প্রার্থী থাকায় এই ভোট গ্রহণের দরকার হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে আসন পাওয়ার আনুপাতিক হারে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র জোট একটি আসন পেয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আট প্রার্থী শপথ না নেওয়ায় তাদের কোটার একটি সংরক্ষিত আসনের তফসিল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ‘সংরক্ষিত ৪৯টি নারী আসনের কোনোটিতে একাধিক প্রার্থী না থাকায় তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের চূড়ান্ত তালিকা রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের জন্য রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবকে চিঠি দেওয়া হবে। পরবর্তীতে কমিশন থেকে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হবে।’

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত ৪৯টি আসনের বিপরীতে ৪৯ প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দেন। পরের দিন মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে প্রত্যেকের মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। এরপর আজ (শনিবার) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকার শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াসিকা আয়েশা খান; কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ; খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা; কুমিল্লার আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম; গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনার সুলতানা নাদিরা; জামালপুরের মিসেস হোসনে আরা; নেত্রকোনার হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম; পিরোজপুরের শেখ এ্যানি রহমান; টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক ও মমতা হেনা লাভলী; সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম; মুন্সীগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা; নীলফামারীর রাবেয়া আলী; নরসিংদীর তামান্না নুসরাত বুবলী; গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান; ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা; ঝিনাইদহের মোছা. খালেদা খানম; বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা; পটুয়াখালীর কাজী কানিজ সুলতানা; খুলনার অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার; দিনাজপুরের জাকিয়া তাবাসসুম; নোয়াখালীর ফরিদা খানম (সাকী); ফরিদপুরের রুশেমা বেগম; কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশেদা বেগম; মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন; রাজশাহীর আদিবা আনজুম মিতা; চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী; শরিয়তপুরের পারভীন হক সিকদার; রাজবাড়ীর খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন; মাদারীপুরের মোসা. তাহমিনা বেগম; পাবনার নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোরের রত্না আহমেদ।

জাতীয় পার্টির অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। ওয়ার্কার্স পাটির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান। স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেছিলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা যদি শপথ গ্রহণ না করেন, তাহলে এ সাতটা আসন নির্বাচন কমিশন শূন্য ঘোষণা করবে। পরবর্তীতে এই আসনগুলোতে নির্বাচন হবে। তাতে যারা এ আসনগুলো পাবে, সেই ভিত্তিতে একটি নারী আসনের ভোট হবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়