ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তি পাবে না জামায়াত: তথ্যমন্ত্রী

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তি পাবে না জামায়াত: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার পদত্যাগের কথা এবং ক্ষমা চাওয়ার কথা দেশের ভেতর ও বাইরের চাপ থেকে মুক্ত হবার কৌশলের অংশ। তারা দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনের অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না।

বুধবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সুজন হালদার রচিত ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রধান আলোচক হিসেবে এবং দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী যে এতদিন ধরে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে এবং বিএনপি তাদের সঙ্গে জোট গঠন করেছে, একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, ফলে বিএনপিও সেই একই অপরাধে অপরাধী এবং দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য নয়। সুতরাং জামায়াতে ইসলামীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য, তাদের নিয়ে জোট গঠন ও সরকার গঠন করার জন্য বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আসন্ন উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে জনগণ থেকে ক্রমেই আরো দূরে সরে যাওয়া। গত সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তারা হয়তো নির্বাচন করতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু বিএনপিকে আমি বলবো খানিকটা সাহস সঞ্চয় করে নির্বাচনে আসতে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কীর্তিময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে যেমন উন্নয়ন, শান্তি, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্ত চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক, তেমনি বিস্ময়কর মানবতারও প্রতীক। এগারো লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন পরম মমতায়।’

‘শেখ হাসিনা জাতির পিতার মৃত্যুতে পিতৃহীন সন্তানদের বুকে আগলে রেখেছেন মমতাময়ী মায়ের মতন; দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন বিস্ময়কর উন্নয়নের গণতান্ত্রিক যাত্রায়; তিনি আজ শুধু ব্যক্তি নন, এক অনন্য প্রতিষ্ঠান’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস শুধু তার প্রত্যাবর্তন নয়, সেটি ছিল উন্নয়ন, শান্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র- এসবেরই প্রত্যাবর্তন। দেশবিরোধীরা শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যা করতে চেয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে, ২০০১ সালের ৩০ মে খুলনা ও ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সেসব হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যায়। তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন।’

মন্ত্রী এসময় ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটি সকলকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আসাদ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়