ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘সম্পদের হিসাব জমা ইতিবাচক পদক্ষেপ’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ১৪ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সম্পদের হিসাব জমা ইতিবাচক পদক্ষেপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৭ হাজারেরও বেশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়াকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

তবে পুরো প্রক্রিয়াটির গ্রহণযোগ্যতা পেতে দুর্নীতিগ্রস্ত এই খাতটির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার টিআইবি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংস্থাটি। একই সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা না হলে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা সুদূর পরাহত বলেও মনে করে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতার যে ঘোষণা দিয়েছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাশাপশি এ কথাও মনে রাখতে হবে, মন্ত্রণালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ওপর অর্পিত দায়িত্বেরই অংশ। আমরা ভূমিমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই, কারণ তিনিই এই সরকারের প্রথম সদস্য যিনি এমন একটি উদ্যোগ নিলেন। তবে আমরা এখনও এই উদ্যোগের কার্যকারিতা ও সদিচ্ছার ব্যাপারে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছি না। কারণ অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত এই খাতটির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে গেছেন। আথচ তাদের বাদ দিলে পুরো প্রক্রিয়াটিই গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।’

এছাড়া সেবা খাতে কার্যকর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল শুধু ভূমি মন্ত্রণালয় নয়, বরং সব মন্ত্রণালয়ের সব শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করার পাশাপশি তা নিয়মিত হালনাগাদ ও পরীবিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক সম্পদের বিবরণী জমা দেবার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকারি পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি হ্রাস করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার কর্মসূচি সার্বজনীন করা ও তা নিয়মিত হালনাগাদ ও পরীবিক্ষণ করার মাধ্যমে এ উদ্যোগকে কার্যকর করতে হবে। এছাড়া সম্পদ বিবরণী যথাযথ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে দুদকের মাধ্যমে যাচাই করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বৈধ আয়ের সাথে সম্পদের অসামঞ্জস্যতার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়