ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘পাটপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের কাজ চলছে’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ১৭ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পাটপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের কাজ চলছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘পাটপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের কাজ চলছে।’

বুধবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃত্রিম মোরকীকরণ বন্ধ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক মোরকীকরণের চাহিদা তৈরি হচ্ছে।  বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী এ চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে পাটের তৈরি পণ্যকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিতে চায়।  এজন্য সরকার বহুমুখী পাটপণ্যের বিশ্বব্যাপী বাজার তৈরির জন্য কাজ করবে।  বিগত বছরগুলোতে পাটের বিশ্বব্যাপী চাহিদা ও বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি ও বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা কী পরিমাণ পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করেছেন, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।  এজন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পাটকল অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বহুমুখী পাটপণ্য উদ্যোক্তাদের নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে।  এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী জরুরী করণীয় নির্ধারণ করবে সরকার।’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিম, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রীনা পারভীন, যুগ্ম সচিব মো. খুরশীর ইকবাল রেজভী ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত সমস্যা, সম্ভাবনা, এ খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বর্তমান সরকার পাটের উন্নয়নে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।  পাটপণ্য অর্থনীতিকে গতিশীল করে তোলার জন্য সব ধরনের কাজ করবে সরকার।  পাট শিল্পের সঙ্গে কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরাও জড়িত বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ ও পরিবেশবান্ধব পাটজাত সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পাটের সোনালি সুদিন ফিরিয়ে এনেছে সরকার।  পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০  শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে।  পাটশিল্পে সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় এখাতে প্রাণের সঞ্চার করেছে।  এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে।  এ খাতের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সরকার সজাগ রয়েছে।  পাট খাতের সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।’

এ ছাড়াও, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে তার অফিস কক্ষে বুধবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ জুট গুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল।

 

 

রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/ ১৭ এ‌প্রিল ২০১৯/আসাদ/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়