সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে না

সংসদ প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সংসদ অধিবেশনে আনা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের বেসরকারি দিবসে বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি মো. রেজাউল করিম বাবলু প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। ‘সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক’ লিখে প্রস্তাবটি আনেন তিনি।

তার এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে ১০ জন সংসদ সদস্য সমর্থন দিয়ে সংশোধনী দেন।  এর মধ্যে রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩) অবসরের বয়সসীমা  ৬২ করার জন্য সংশোধনী দেন। শহিদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, ছলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩) অবসরের সীমা ৬২ বছর, ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, সংরক্ষিত নারী আসনে রওশনারা মান্নান ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন,  ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১) অবসরের সময় ৬২ বছর, সংরক্ষিত নারী আসনের মোসাম্মৎ খালেদা খানম ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন,  মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন ও মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫) অবসরের সীমা ৬২ করার প্রস্তাব দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

এই প্রস্তাবে সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি এখন ভালো।  এখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। তেমন জট হচ্ছে না।  এজন্য একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষের পর ৬ থেকে ৭ বছর পান। এই সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষার অংশ নিতে পারেন।  তা ছাড়াও, আমাদের সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে চাকরিতে ন্যূনতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না।  সুতরাং কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন, ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর।  সুতরায় তাকে আরো তিন/চার বছর চাকরি করতে হবে।  কিন্তু আইন অনুযায়ী সেই সুযোগ নেই।  এর ফলে পূর্ণ পেনশন তিনি পাবেন না।  পেনশন পাওয়ার সময় নানা ধরনের জটিলতা দেখে দেবে।  তা ছাড়া, প্রতিবছর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহু শিক্ষার্থী বের হয়। তাদেরও চাকরির সুযোগ দেওয়া দরকার।  তাই অবসরের সময় যদি বাড়ানো হয় তাহলে নতুনরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।  সে কারণে আপাতত সরকার চাকরিতে বয়স বাড়ানোর কোনো ‍সুযোগ নেই।’

এরপর ফরহাদ প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।  কিন্তু প্রস্তাবকারী স্বতন্ত্র এমপি তার প্রস্তাব তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে পরে কণ্ঠভোটে দেওয়া হয়। সংসদের আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ভোটে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান হয়।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৯/আসাদ/সাইফুল