ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উচ্চ মূল্যের ফসলের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১০, ১২ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উচ্চ মূল্যের ফসলের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, লাভজনক কৃষির কথা মাথায় রেখে উচ্চ মূল্যের ফসল আবাদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। উচ্চ মূল্যের কাজু বাদাম পুষ্টিকর এবং মজাদার খাদ্য। এটি উৎকৃষ্ট শিশুখাদ্যও বটে। যার চাহিদা সারা বিশ্বে দিনে দিনে বাড়ছে।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কাজু বাদাম উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাজু বাদামের একটি গাছ ৫০ কেজি করে গ্রিন হাউস গ্যাস (কার্বন ডাইঅক্সাইড) শোষণ করে। এ গাছকে পরিবেশের বন্ধুও বলা চলে। বাদাম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণে জনবলের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি বলেন, সরকার সব সময় কৃষকের লাভের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। কাজু বাদাম আবাদ মোটামুটি সহজ। এটি চাষের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে।

ভিয়েতনাম থেকে উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা আমদানির ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কাজু বাদামের চারায় সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। আরো অধিক সংখ্যক খামারিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সকল উপযোগী পতিত জায়গায় এর চাষ করার তাগিদ দেন।

প্রক্রিয়াজাতসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান। প্রয়োজনে খামারিদের বিদেশে অভিজ্ঞতা অর্জন ও প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজু বাদামের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ভিয়েতনাম ১৯৮৮ সালে কাজু বাদাম চাষ শুরু করে এবং ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিক চাষে গিয়ে আজ তারা বিশ্বে এক নাম্বার হলে আমরা কেন পারব না? বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষির জন্য যা যা করার সব করবে।কৃষিপণ্যটি রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উঠে এসেছে কৃষিপণ্যটি। যেসব দেশে কাজু বাদাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় সেসব দেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের তাগিদ দেন মন্ত্রী।

এ সময় কাজু বাদাম উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাশাপাশি থানচি, রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে কাজু বাদাম চাষ হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। নিজস্ব চারা থেকে উৎপাদিত গাছ থেকে উৎপন্ন বাদামে তারা লাভবান হচ্ছেন। তাদের ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ হাজার মেট্রিক টন। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ কোটি গাছ রোপন করে ২ লাখ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হবে । এতে উৎপাদন হবে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য ২৬ হাজার কোটি টাকা। আমাদের প্রসেসিং কারখানা থাকলে এবং প্রসেসিং করে রপ্তানি করা গেলে এই অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। এজন্য ভিয়েতনামের উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা ও নিজস্ব প্রসেসিং কারখানা প্রয়োজন।কৃষিমন্ত্রী মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শোনেন।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মো. হারুন। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শফিক উদ্দিন, কাজী শাহাদাত হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, মো. কামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়