ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কে হবেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান!

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কে হবেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান!

এম.শাহীন গোলদার, সাতক্ষীরা : আগামীকাল বুধবার সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারই প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কে হবেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান। তার ভাগ্য নির্ধারণ হবে কাল।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ভোটে তাদের যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন ।

সাতক্ষীরা জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ১৫টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫১ জন।

কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, সাতক্ষীরা শহরের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভাদড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া উপজেলার জি.কে.এম.কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বামনখালী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, দেবহাটা উপজেলার সখীপুর খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ, কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, বিষ্ণুপুর পি.কে.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুম, মুন্সিগঞ্জের ধানখালি সুন্দরবন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনাইটেড একাডেমি হাইস্কুল, গুণাকরকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজ, বি.দে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মটর সাইকেল  প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

জেলা পরিষদের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য (পুরুষ) প্রার্থী হিসেবে ১৫টি পদে রয়েছেন ৭৫ জন ও ৫টি সংরক্ষিত সাধারণ সদস্যের (নারী) বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে কৈখালি ও রমজাননগর দুটি ইউনিয়নে ভোট বন্ধ সংক্রান্ত হাইকোর্টের একটি আদেশ থাকায় এখানের ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

অপরদিকে, গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে জেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার। ফলে আজ থেকে কোন প্রার্থী আর প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন না।

জেলার সকল ভোটকেন্দ্র পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। কেন্দ্রগুলো যেন নতুন সাজে সেজেছে।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন, এজন্য দল তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ণ করেছে। আমি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটাররা যাকে ভালো মনে করবেন তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন এটাই নিয়ম। মানুষ জেলা পরিষদের সেবা দেখেছে। ভোটাররা সবসময় ভালো কিছু আশা করে। নতুন কিছুর প্রত্যাশায় ভোটাররা নির্বাচনে তাকে জয়ী করে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির প্রতিশোধ নেবে ।

সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম কামরুল ইসলাম জানান, কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে ভোট বন্ধ সংক্রান্ত হাইকের্টের আদেশ তারা পেয়েছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে করণীয় জানতে তিনি ইতিমধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন জানান, ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরণের চেষ্টা অব্যহত রাখা হয়েছে।

 

 


রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/২৭ ডিসেম্বর ২০১৬/ শাহীন /টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়