ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে’

33,35,32 || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ২২ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে তার আগে নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে রাইজিংবিডির কার্যালয়ে 'তারুণ্যের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা' শীর্ষক বৈঠকিতে এ কথা বলেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কীভাবে জানতে পেরেছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা পরিবারের সদস্য, যেমন: বাবা-চাচাদের কাছ থেকে জেনেছেন। কেউবা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই ও চলচ্চিত্র দেখে জেনেছেন।

তবে শিক্ষার্থীদের অনেকে অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ে একেক শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য থাকায় তারা এখনো বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।



এ প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ফজলুল আজিম ফারাবি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যতটুকু আছে তা পর্যাপ্ত নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে প্রথম কোন দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল সে বিষয়টি নিয়েও তথ্য বিভ্রাট দেখে এসেছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ রাসেল বলেন, যখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি, তখন পাঠ্যবইয়ে পড়েছি যে, ৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান এবং ৬ এপ্রিল দেয় ভারত। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি, প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভারত। তাহলে আমরা কোনটা বিশ্বাস করব?

ফজলুল আজিম ফারাবি বলেন, জাতীয় সঙ্গীত শুনলে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। অন্য কোনো গান আমায় এতটা আবেগপ্রবণ করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের কোনো সিনেমা দেখলে আমার ভেতরের সত্তা জেগে ওঠে। যারা যুদ্ধ করেছে, মনে হয়, যেন আমিও তাদের একজন।

শুধু ফরাবি নন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হেয়ে দেশেকে এগিয়ে নিতে চান এ বৈঠকিতে অংশ নেওয়া সবাই।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাইফুল ইসলাম মাছুম বলেন, জাতীয় চেতনা বলতে বোঝায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। আর সেই চেতনাকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে।



সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে এই চেতনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন এ শিক্ষার্থী।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের আগ্রাসন ও অপপ্রচার রুখতে কী করণীয়, সে বিষয়ে বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী শুভ্র মাহমুদ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, সামাজিক উন্নয়ন দরকার। সামাজিক উন্নয়ন হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।     

বৈঠকিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রাইজিংবিডি ডটকমের সম্পাদক নওশের আলী, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায় ও আলোচনা প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন প্রধান প্রতিবেদক হাসান মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন রাইজিংবিডির সহকারী বার্তা সম্পাদক রাসেল পারভেজ, নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদ আল মাহমুদ, আবু বকর ইয়ামিন ও আহমদ নূর।

আলেচনায় অংশ নেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মিনহাজ উদ্দিন, এস কে কান্তা রেজা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল, ঢাকা কলেজের ফজলুল আজিম ফারাবি, তিতুমীর কলেজের নূর মোহাম্মদ, কবি নজরুল কলেজের তুহিন সরদার, মিরপুর বাংলা কলেজের শুভ্র মাহমুদ, তেজগাঁও কলেজের সাদমান সাইদ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের রাকিবুজ্জামান সোহান, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির নিয়ন রহমান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাইফুল ইসলাম মাছুম ও আবদুল্লাহ আল মামুন, ইউল্যাবের ইয়ানুর হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির আনোয়ার হোসেন, সুব্রত দেবনাথ, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির তৌহিদ রহমান, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ্র বসাক, সরকারি তোলারাম কলেজের রাতুল, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাসরুর আকন্দ, আশা ইউনিভার্সিটির রাজিব চক্রবর্তী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাকিবুল হাসান রাকিব, স্টেট ইউনিভার্সিটির হাবিবুর রহমান অনিক, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের তানিম হোসেন, বিএফ শাহিন কলেজের তরিকুল ইসলাম, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির আতাউর রহমান ও নর্দান ইউনিভার্সিটির উজ্জ্বল কান্তি নাগ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৭/নাসির/হাসিব/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়