ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সামাজিকীকরণ ও বর্তমান প্রজন্ম

লিটন কান্তি হালদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সামাজিকীকরণ ও বর্তমান প্রজন্ম

লিটন কান্তি হালদার : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল তাঁর  `The Politics’ গ্রন্থে বলেছেন, মানুষ স্বভাবতই সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব, সে সমাজে জন্মগ্রহন করে এবং লালিত পালিত হয়। যে লোক সমাজের সভ্য নয়, সে হয় দেবতা, না হয় পশু।

সমাজ বিজ্ঞানী MacIver বলেন, `Society is the whole system of social relationship.'  R.N. Gilchrist এর মতে `Society is composed of number of individuals living together and entering into relationship with one another.'

সমাজ হল পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিবর্গের সংঘবদ্ধ ব্যবস্থা যেখানে মানুষ সহযোগিতা, সম্পর্ক ও সহানুভূতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বসবাস করে।

সমাজ গড়ে ওঠার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় জড়িয়ে আাছে। সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ সমাজের সাথে পরিচিত হয়, সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ ও ভাবধারা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। সমাজবিজ্ঞানী Bogardus এর ভাষায়, ‘সামাজিকীকরণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি জনকল্যাণের নিমিত্তে একত্রে নির্ভরযোগ্য আচরণ করতে শেখে এবং এটি করতে গিয়ে সামাজিক আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্বশীল ও সুসামঞ্জস্য ব্যক্তিত্বের অভিজ্ঞতা লাভ করে।’  অর্থাৎ সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ সমাজে প্রচলিত প্রথা, রীতিনীতি, আচার-আচরণ, মূল্যবোধ ও ভাবধারা ইত্যাদি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

সামাজিকীকরণ শিশুদের সামাজিক আচরণ শিক্ষা দেয়। সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সামাজিকীকরণের মাধ্যমে ব্যক্তি রাজনীতির সাথে পরিচিত হয় এবং ব্যক্তির মধ্যে চেতনা ও মেধার বিকাশ ঘটে। ব্যক্তির মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয় এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার ধারণা জন্ম নেয়। দেশগঠন, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সকল প্রকার সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং রাজনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে শিশুদের সামাজিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠছে তাদের সঠিকভাবে সামাজিকীকরণ হচ্ছে কি ? অত্যাধুনিক চিন্তাচেতনার বেড়াজালে বেড়ে উঠতে গিয়ে বর্তমান প্রজন্ম সঠিক পথ পরিহার করে বিপথে পরিচালিত হলে ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনায় তারা ব্যর্থ হবে। ভেঙে যাবে সামাজিক কাঠামো। সামাজিক অস্থিরতা, পারস্পরিক সহিংসতা ও সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সামাজিক বৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলবে।

পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতির বিরাট পার্থক্য রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ়। সমাজিক মূলবোধের প্রাধান্য এ সমাজের ঐক্যের মূল হাতিয়ার। সামাজিক দায়বদ্ধতা সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে বড় ভূমিকা রাখছে। এ সমাজের মানুষ শুধু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, নৈতিক মূল্যবোধও এদের কাছে অধিক সংবেদনশীল। কিন্তু আজকে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম কি সামাজিক দায়বদ্ধতা বা নৈতিক মূল্যবোধের দীক্ষায় দীক্ষিত হচ্ছে ?  যদি না হয় তবে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছি তা স্বপ্নই থেকে যাবে।

সামাজিকীকরণের প্রধান ক্ষেত্র পরিবার। পারিবারিক শিক্ষা, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি শিশুর পরবর্তী জীবনে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের সমাজে যখন যৌথ পরিবার ছিল তখন পরিবারেই শিশুরা সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করত। নানামুখি অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবন সম্পর্কে ধারণা পেত। বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে শিশুরা সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার শিক্ষা পেত। সমাজের সাথে তার যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে সেই উপলব্ধি জন্মাতো পরিবারেই। নৈতিক শিক্ষা অর্জন ও সামাজিক মূল্যবোধের ধারণা লাভ করে শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ সাধিত হত। তাদের মধ্যে জন্ম নিত সামাজিক দায়বদ্ধতা। 

যৌথ পরিবারের নানা সমস্যাও ছিল। সেই সমস্যা সমাধানে পরিবারের যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাঁদের ভূমিকা এবং সমস্যা সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপ, সমাজিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয় শিশু কিশোরদের মধ্যে রাজনৈতিক সামাজিকীকরণের পথ সুগম করেছে। পরবর্তী সময়ে যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবারের জন্ম হলেও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের প্রাধান্য ছিল। একাধিক ভাই- বোন থাকায় ভাগাভাগি করে নেয়ার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়নি এ সময়ের সন্তানেরা। সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা পরিবার থেকেই পেত, যা সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য  অপরিহার্য্য।

সময়ের আবর্তে মানুষ যতই আধুনিক হচ্ছে, মানুষের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা ততই প্রখর হচ্ছে। মানুষ একক পরিবারের পরিবর্তে অনু পরিবার গঠনের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবারের সন্তান সংখ্যা এক বা দুই’য়ে সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য করে। অধিকাংশ পরিবার সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। জীবিকার তাড়নায় এবং সময়ের অভাবে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সময় দেয়ার মত সময় এখন আর কারো নেই। লেখাপড়ার বাইরেও যে একটা বিশাল জগৎ পড়ে আছে, সেই ধারণা সন্তানদেরকে দেয়ার প্রয়োজন আজ আর বোধ করে না অনেকেই। তাই এ সময়ের শিশুদের কাছে সমাজের বাস্তব কোন ধারণা নেই। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করতে তারা জানে না। যাদের সাথে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি, যারা জানে না সমাজ বা রাষ্ট্র তাকে কি দিয়েছে, তাদের মধ্যে সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা জন্মাবে কিভাবে ?

বর্তমান সময়ে আর এক ধরনের পরিবার লক্ষ্য করা যায়, যে পরিবারে স্বামী এবং স্ত্রী বিভিন্ন প্রয়োজনে আলাদা আলাদা জায়গায় অবস্থান করে। যেমন স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই চাকরি করেন এবং দুজনার কর্মস্থল দুই এলাকায়, তখন দুজন দুই জায়গায় বাসা নিয়ে আলাদা বাস করেন। এ ধরনের পরিবারের নাম দেয়া যায় ‘ন্যানো পরিবার’। ক্ষুদ্র থেকে অতি ক্ষুদ্র। এ সকল পরিবারের সন্তানদের মধ্যে বাবা-মায়ের আদর, ¯েœহ, ভালবাসা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মায় না। তারা যার কাছে বড় হয়, সে কাজের মেয়েও হতে পারে বা কোন আত্মীয় হতে পারে, সেই তার আপন হয়ে যায়।

স্বাভাবিক দৃষ্টিকোনে বলা যায়, যে শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সরাসরি সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠে তাদের মধ্যে বাবা-মায়ের আদর্শ, বাবা-মায়ের সম্পর্ক ও নৈতিকতার প্রকাশ, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন- ইত্যাদি সব কিছুর একটা প্রভাব পড়ে। কিন্তু যে সন্তান তার বাবা-মাকে কাছেই পায় না, তার সুষ্ঠু বিকাশ হবে কীভাবে ? যে কারণে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতাই নয়, পরিবারের প্রতিও দায়বদ্ধতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা পরিবারের প্রতি সহিংস হতেও দ্বিধাবোধ করে না।

সাম্প্রতিক সময়ের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের সবার জীবনের মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিশেষত আগামী দিনের নাগরিক যারা, সেই কোমলমতি শিশু কিশোরদের নাজুক মনে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিচিত্র পরিবেশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সন্তানের ওপর তার পরিবারের প্রভাব সর্বদাই লক্ষ্য করা যায়। যে সব পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক নেই, পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের সাথে অশোভন আচরণ হয়, অবৈধ পথে অর্থ রোজগার করা হয়, সমাজের প্রতি যারা কোন দায়িত্ব পালন করে না, যাদের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় চরম পর্যায়ে তাদের পরিবারের সন্তানরা বড় হয়ে তাদের সাথেও অমানবিক আচরণ করবে, সমাজের প্রতি সেই সন্তানদের থাকবে না কোন দায়বদ্ধতা, তারা দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়বে- এটাই স্বাভাবিক।  মোট কথা আপনি আপনার সন্তানকে ভবিষ্যতে যেভাবে দেখতে চান, আপনাকে এখন সেইভাবেই চলতে হবে।

নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, যুক্তিবাদী, নীতিবান, নিজের ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক এবং কর্মকুশলী নাগরিক গড়ে তোলাই বাংলাদেশের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাপরিবেশ শিশুকিশোরকে সুশৃঙ্খল সমাজ ও সুষ্ঠু পরিবেশ গঠন এবং সুনাগরিকরূপে প্রতিষ্ঠিত হবার প্রস্তুতি দান করে। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কি শিশুকিশোরকে সুশৃঙ্খল সমাজ ও সুষ্ঠু পরিবেশ গঠন এবং সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার মত যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান হাজারো অনিয়ম শিশুকিশোরদের মধ্যে  নৈতিকতাবোধ তৈরি করার পরিবর্তে তাদের অনৈতিক কাজে অভ্যস্ত করে তুলছে। শিক্ষা এখন ব্যবসায়িক পণ্য। শিক্ষার্থীদেরকে মোটা টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে তা কিনতে হচ্ছে। পণ্য বিক্রেতার প্রতি যেমন ক্রেতার কোন দায়বদ্ধতা বা অনুভূতি থাকে না, তেমনি শিক্ষকগণের প্রতিও বর্তমান শিক্ষার্থীদের তেমন কোন দায়বদ্ধতা বা অনুভূতির জন্ম হয় না।

অথচ যে কোন অর্থে শিক্ষক একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। শিক্ষকের সামনে আজও আমরা অবনত মস্তকে দাঁড়িয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশের কাছে শিক্ষক  হলেন একজন বিদ্যা বিক্রেতা। তাদের মধ্যে এ ধারণা তৈরি হওয়ার পেছনে কাজ করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশ এবং শিক্ষকগণের অশিক্ষক সুলভ আচরণ। এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া অসম্ভব যেখানে বিদ্যালয়ই শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষার্থীকে কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউটর এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার উপর ভরসা করতে হয়। যে যত বেশি এগুলোর পেছনে টাকা এবং সময় ব্যয় করতে পারবে সে তত বেশি শিখতে পারবে। এমন অনেক শিক্ষক আছেন বলে অভিযোগ আছে, তার কাছে যে ছাত্র প্রাইভেট পড়ে না, তাকে পরীক্ষায় নম্বর কম দেন, ঐ শিক্ষার্থীর সাথে বিনা কারণে খারাপ আচরণ করেন। যারা তার কাছে পড়ে, তাদের তিনি পরীক্ষার প্রশ্ন আগে থেকেই বলে দেন। শিক্ষককের এ ধরণের আচরণ শিক্ষার্থীকে অনিয়মের সাথে তাল মেলাতে শেখায়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষার হলে নকল করার সুযোগ এবং সহায়তা, সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ণ না করা প্রভৃতি কারণে একদিকে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পাচ্ছে না, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে ব্যাপকভাবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রমও তেমন হয় না। যেখানে হয় সেও দায়সারা ভাবে। একজন সুনাগরিক হিসেবে  শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার মাধ্যমই হল সহশিক্ষা কার্যক্রম। ছাত্র রাজনীতির কুপ্রভাব শিক্ষার্থীদের মনে নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এবং রাজনীতির প্রতি অশ্রদ্ধার জন্ম দিচ্ছে। শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন আর গড়ে ওঠে না। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীর মেধা ও মনন বিকাশের এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার মত সুন্দর পরিবেশ বর্তমান সময়ে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই।

পরিশেষে মনে প্রশ্ন জাগে, বর্তমান সময়ে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম কি আগামী দিনে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে ?

লেখক : শিক্ষাজীবী।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ এপ্রিল ২০১৭/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়