ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রসঙ্গটা ওয়ালটন না, নিজের দেশের জিনিস ব্যবহারের

মেহেদী হাসান শোয়েব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রসঙ্গটা ওয়ালটন না, নিজের দেশের জিনিস ব্যবহারের

মেহেদী হাসান শোয়েব : প্রসঙ্গটা ওয়ালটন না, প্রসঙ্গ নিজের দেশের জিনিস ব্যবহারের। ইলেকট্রনিক পণ্যে ওয়ালটন দেশি ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে এবং ক্রমেই এগিয়ে চলেছে বলে ওয়ালটনের নাম আসছে।

দেশি জিনিস ব্যবহারের পক্ষে বলতে গিয়ে ওয়ালটনের নাম বলা, ওয়ালটনের পণ্যকে ভালো বলার মানে যারা করছেন ওয়ালটনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসব বলা হচ্ছে, তারা আসলে নিজেদের চরিত্রটাকে সকলের চরিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। আপনি নিজে ওয়ালটনবিরোধী প্রচারণায় নেমেছেন, তার পেছনে কোনো স্বার্থ আছে বলেই মনে হচ্ছে। সে কারণেই যে ওয়ালটনের সুনাম বলছেন তাকেও আপনার টাকা খাওয়া মনে হয়।

বিদেশি পণ্য বিপণন-বাজারজাতকরণের সাথে আমাদের দেশের মানুষরাই আছে। এখানে কম দামে ভালো পণ্য মানুষকে দিতে পারা দেশি প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে গেলে ওই মানুষগুলোর ব্যক্তি-স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই, দেশি পণ্য বা দেশি প্রতিষ্ঠানবিরোধী প্রচারণায় দেশি মানুষেরা সচেতনভাবেই যোগ দিচ্ছেন। আর কুৎসা রটাচ্ছেন যারা নির্মোহভাবে দেশের পণ্যর সুনাম করেছেন তাদের বিরুদ্ধে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ে তার চীন সফরের বর্ণনা আছে। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিব চীনে কেনার মতো একটা ব্লেড খুঁজে পাননি। কেননা তখনও ওদের নিজেদের ব্লেড বানানোর কোনো কোম্পানি ছিল না।

আমাদের ভেতরে আত্মসম্মান বোধটুকু কবে জন্মাবে?

আবার দেশের পণ্য হিসেবে একটা ওয়ালটন বা মিনিস্টার বা অন্য কোনো দেশি কোম্পানির টিভি হয়তো কিনলাম। কিন্তু রিমোট ঘুরিয়ে চ্যানেল থেকে চ্যানেলে বিশ্বভ্রমণ করে ফেললেও ওই বাক্সটার ভেতরে দেশের অনুষ্ঠানে কতক্ষণ চোখ থাকে সেটাও ভেবে দেখা দরকার মনে করি। নাহলে কোথায় যেন একটা স্ববিরোধী আচরণ হয়ে যায় বলে মনে হয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মে ২০১৭/সুজন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়