ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘আমার সোনার বাংলা’ জনপ্রিয় করার নেপথ্যজন

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৮ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আমার সোনার বাংলা’ জনপ্রিয় করার নেপথ্যজন

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহিদুর রহিম

হাসান মাহামুদ : একটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে সেই গান, যাতে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের প্রকৃতি ও সত্তা ফুটে ওঠে। কোনো একটি গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত বা মনোনীত কিংবা স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে অবশ্যই কিছু কারণ, প্রভাব এবং বিষয় থাকে। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতও নিশ্চয়ই এর ব্যতিক্রম নয়।

জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার আগে ‘আমার সোনার বাংলা’ রবীন্দ্রসঙ্গীতটিকে এই বাংলার জনগণের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় করেছিলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহিদুর রহিম। যা পরবর্তীতে  জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতিতে প্রভাব ফেলেছিল।

সভ্যতার বিকাশের পর থেকেই কিন্তু কোনো জাতি বা গোত্রের জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকা ছিল না। এমনকি কোনো সার্বভৌম প্রদেশ গড়ে ওঠার পরও এসব বিষয়ের প্রচলন হয়নি। জাতীয় সঙ্গীত নির্দিষ্ট করার বিষয়টি মূলত এসেছে ডাচ বিপ্লব চলাকালীন সময় থেকে। এর রয়েছে একটি উজ্জ্বল ইতিহাস।

১৫৬৮ থেকে ১৬৭২ সালের মধ্যে ডাচ বিপ্লব চলাকালে একটি সুর, রিদমের কথা ভাবা হচ্ছিল। যার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য বোঝানো যাবে। অবশেষে ১৯৩২ সালে বিশ্বে ডাচরা একটি গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পৃথিবীতে এটি হচ্ছে ‘প্রথম জাতীয় সঙ্গীত’। প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃত হয় ডাচ জাতীয় সঙ্গীত। এর অবশ্য আরো প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। ১৭৪৫ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় সঙ্গীত ‘গড সেভ দ কুইন’ প্রথম শোনানো হয় ‘গড সেভ দি কিং’ হিসেবে। কিন্তু এটিকে পরবর্তীতে আর জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

তবে গবেষক মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব-এর লেখা থেকে পাওয়া যায়, স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এই সাধের জাতীয় সঙ্গীত সৃষ্টি ও গাওয়ার কার্যক্রমটি প্রথম কখন থেকে শুরু হয়েছে? এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য, যতদূর জানা যায়, নবম শতাব্দিতে জাপানে ‘কিম গাও’ নামে এই ধরনের একটি গানের প্রচলন ছিল। আর এটাই বিশ্বের প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাহোক, এর মধ্যে শত শত বছর পার হয়ে যায়। সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নানা দেশে পরিবর্তন আসতে থাকলে ষোড়শ শতাব্দি থেকে ব্রিটিশরা সারাবিশ্বে বিশেষ অবস্থান নিতে থাকে এবং একই সাথে তাদের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন দিকে বিকাশ হতে থাকে। আর সেই আমেজে ১৭৪৫ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে জাতীয় সঙ্গীত প্রবর্তিত হয়। এই ক্ষেত্রে গানটি ছিল রাজাকে ঘিরে ‘God save the king’. অবশ্য এই গানটির রচয়িতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও, যাঁর কথা বহুল স্বীকৃত, তিনি হলেন- মি. হেনরী বেরী। তিনি ১৭৪৩ সালের দিকে ডেটিংগেন নামক যুদ্ধে ইংরেজদের বিজয় উত্সবকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে প্রথম রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশত বছর কেটে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তখন উপরের দিকে উঠার পালা। সেই সময়ে উক্ত দেশে নানাদিকে উন্নতি সাধিত হতে থাকে এবং এই আবর্তে জাতীয় সঙ্গীত প্রবর্তিত হয়। এই জাতীয় সঙ্গীতের নাম: The star spangled banner, এর বাংলা হলো এ দেশের অন্তর্গত সকল রাজ্যের প্রতিভূ হিসেবে তারকার চুমকি বসানো পতাকা। গানটি রচনা করেন ১৮১৪ সালে একজন সাধারণ সৈনিক, যার নাম মি. ফ্রান্সিস স্কট কী। এদিকে ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীত রচিত ও প্রবর্তিত হয় ১৭৯২ সালে, যার নাম "লা মার্সেলেজ"। তত্পর যে দেশের কথা আসে, সেটা হলো চেকোশ্লোভাকিয়া। এদেশের দুটো জাতি চেক এবং শ্লোভাক। চেকদের প্রিয় গান ছিল: Kde domor i meej, যার অর্থ কোথায় মোর সাধের দেশ। অন্যদিকে শ্লোভাকদের প্রিয় গান হলো: Nad tatrou se Bilyska-এর বাংলা অর্থ হলো শৈল মাথায় শিরে বিজলি জ্বলে। যাহোক, পরবর্তীতে এই দুটো গানই এদেশের দুটো জাতির জন্য জাতীয় সঙ্গীতরূপে স্বীকৃতি লাভ করে। তত্পর যে দেশটির কথা আসে, সেটা হলো সুইজারল্যান্ড, এর জাতীয় সঙ্গীত হলো তিনটি।

উল্লেখ্য যে, এ ৩টি গান বসবাসরত জার্মান ও ফরাসী জনগণের ভাষাকে ঘিরে। কেননা এদেশে দুটো ভাষা প্রচলিত বিধায় জার্মান-ভাষীদের রয়েছে একটি প্রিয় গান এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ফরাসীদের জন্য দুটি গান। এতদ্ব্যতীত রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল’। সুইডেনের জাতীয় সঙ্গীতের বিষয় হলো: ‘সুইডেনের এ হৃদয় হতে’। এই সময়ে ইউরোপের প্রায় সব দেশে জাতীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রে সাড়া পড়ে যায় এবং সেই সূত্র ধরে বিশ্বের সব দেশে একের পর এক জাতীয় সঙ্গীত প্রবর্তিত হতে থাকে।

‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি....’ রবীন্দ্রনাথ রচিত ও সুরারোপিত গানটি আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এই সঙ্গীতটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পেছনেও কিছু প্রভাব কাজ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবক হিসেবে অবদান রেখেছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহিদুর রহিম।

বিস্মৃতপ্রায় কিন্তু আলোকিত এক শিল্পীর নাম জাহিদুর রহিম। তিনি ছিলেন এদেশের প্রাগ্রসর শিল্পী। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। ষাটের দশকে তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি গেয়ে দেশের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তোলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রিয় শিল্পী জাহিদুর রহিমের কণ্ঠেই আমাদের প্রিয় জাতীয় সঙ্গীত শুনতে বেশি ভালোবাসতেন।

রবীন্দ্র সঙ্গীতটি জাহিদুর রহিম জনপ্রিয় করার বিষয়টি কামাল লোহানীর লেখায় উল্লেখ পাওয়া যায়। এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তার ‘জাতীয় স্বার্থ বনাম সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী কূটকৌশলে যখন বঙ্গভঙ্গ করার ফাঁদ পেতে ছিল বেনিয়া শাসকগোষ্ঠী, প্রতিবাদে ঝড় উঠেছিল সবখানে। কবিগুরু লিখেছিলেন, 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।' পাকিস্তানি দুঃশাসন আমলে রবীন্দ্র শতবর্ষের আগে থেকেই এ গানটি আমাদের কাছে জনপ্রিয় ছিল নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের গান হিসেবে। প্রথমে প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীতশাস্ত্রী জাহিদুর রহিম এবং পরে জনপ্রিয় গণগায়ক অজিত রায় এই গান জনপ্রিয় করেছেন। দুঃখজনক ইতিহাস হলো, ব্রিটিশ শাসকরা যখন ভারত ছাড়তে বাধ্য হয় তখন কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতাদের মত নিয়েই সেই বাংলাকে দু'ভাগে ভাগ করে আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দিলে আমরা কৃতার্থ হলাম ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ স্লোগানে মত্ত হয়ে। কিন্তু ক’দিন বাদেই মুসলিম লীগ নেতাদের কপটতা ধরা পড়ল। শোষণ-বঞ্চনা, নিপীড়ন-নির্যাতনের দিন শেষে সেই বঙ্গদেশের পূর্বাঞ্চল যখন স্বাধীন হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে, বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর সেই ঐতিহাসিক গান ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’কেই জাতীয় সঙ্গীতরূপে ঘোষণা দিলেন। একটি রাষ্ট্র জন্ম নিল, যার জাতীয় পতাকা হলো লাল-সবুজের, জাতীয় সঙ্গীত হলো।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গন জাহিদুর রহিমকে প্রায় ভুলেই গেছে। অথচ ষাট ও সত্তরের দশকে ঢাকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জাহিদুর রহিম ছিলেন এক অনন্য নাম। তার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া ঢাকার কোনো রুচিসম্পন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কল্পনাই করা যেত না। বিশেষ করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, সংস্কৃতি সংসদ, আবাসিক হল, বিভিন্ন জেলায় ছাত্র সম্মেলন, প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠান, ২৫ বৈশাখ, ২২ শ্রাবণ, বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান এমন কোনো মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান হতো না যেখানে জাহিদুর রহিম রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেননি। তার ভরাট, উদাত্ত গলা এখনও অনেকের স্মৃতিতে অনুরণন তোলে। দীর্ঘদেহী জাহিদুর রহিমের সর্বদা বিশেষ পোশাক (সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি), তার ব্যক্তিত্ব, মৃদুভাষা, ভরাট কণ্ঠ সবই সংস্কৃতিমনা যে কোনো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করত। তখন ঢাকায় টেলিভিশন এত রমরমা ব্যাপার ছিল না। ডিআইটির (বর্তমান রাউজক ভবন) ক্ষুদ্র পরিসরে ততোধিক ছোট স্টুডিও থেকে মাসে মাত্র কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান পরিবেশিত হতো। সামগ্রিক টিভি অনুষ্ঠান প্রচারের সময়সীমাও ছিল কম। তাই টিভির মাধ্যমে জাহিদুর রহিমের তেমন প্রচার ঘটেনি। যতটা ঘটেছিল মঞ্চে। তবে প্রায়ই জাহিদুর রহিমের ভরাট কণ্ঠ শোনা যেত রেডিওতে। তখন রেডিও ছিল জনপ্রিয় গণমাধ্যম। রেডিওতে অনেক রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার হতো। রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করার পেছনে রেডিওর অবদানের কথা এখন কেউ স্মরণ করে না।

ষাটের দশকে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৬দফাকে কেন্দ্র করে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে জাগরণ ঘটেছিল, জাহিদুর রহিম দেশাত্মবোধক রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে সেই আন্দোলনকে আরও বেগবান করেন।

১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে জাহিদুর রহিম বগুড়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল পাবনা জেলার শাহজাদপুরে। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন তিনি।

দরাজ কণ্ঠের অধিকারী জাহিদুর রহিম অতি অল্পকালের মধ্যেই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯৭২ সালে তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম রেকর্ড বের হয়। তিনি ছায়ানট প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। ভারতে অনুষ্ঠিত বঙ্গ সংস্কৃতি মেলায় তিনি বহুবার অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি রাশিয়া ও ভারত সফর করেন। রেডিও ও টেলিভিশনে তিনি নিয়মিত রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করতেন। ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন তার মৃত্যু হয়।  পেশাগত জীবনে তিনি প্রথমে ফিলিপস কোম্পানি এবং পরে শিক্ষা বিভাগে চাকরি করেন। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শেষপর্যন্তু তিনি সঙ্গীতজগতেই প্রবেশ করেন। ১৯৬১ সালে  বুলবুল ললিতকলা একাডেমী থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে তিনি একাডেমিতেই শিক্ষকতা করেন এবং রবীন্দ্রনাথের শ্যামা ও চন্ডালিকা নৃত্যনাট্যে কণ্ঠ সঙ্গীতে অংশ নিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি  ছায়ানট, অগ্নিবীণা, মূর্ছনা, আলতাফ মাহমুদ সঙ্গীত নিকেতন, নজরুল পরিষদ প্রভৃতি সঙ্গীত বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি  বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রে সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘নিজস্ব শিল্পী’ হিসেবে চাকরি করেন।

জাহিদুর রহিমের কথা বলতে গেলে চলে আসে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর প্রতিষ্ঠার ইতিকথাও। কারণ জাহিদুর রহিম ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। একনিষ্ঠ শিল্পী জাহিদুর রহিমকে বঙ্গবন্ধু ‘বাবু’ বলেও ডাকতেন। মহান এই শিল্পীর প্রতি জাতির জনকের এই ভালোবাসাই চরম ভোগান্তি ডেকে আনে শিল্পী জাহিদুর রহিমের জীবনে। সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসনকালে তিনি অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত হন। অপমানের ভারে, বেদনা সহ্য করতে না পেরে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭৮ সালের এইদিনে ১৮ জুন অকালে মৃত্যুবরণ করেন। দেশ হারায় মহান এক শিল্পসাধককে। মহাপ্রয়াণ দিনে তার স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখক: সাংবাদিক।
[email protected]

(মতামত লেখকের নিজস্ব)



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৭/হাসান/শাহ মতিন টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়