ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঈদ সংখ্যা ৪৩ বছর আগে || চিন্ময় মুৎসুদ্দী

চিন্ময় মুৎসুদ্দী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৭, ২৫ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদ সংখ্যা ৪৩ বছর আগে || চিন্ময় মুৎসুদ্দী

সংবাদপত্রের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের একটি প্রধান উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি অর্জন। বিভিন্ন দিবসে যেমন স্বাধীনতা, বিজয়, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি সব পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। তিনটি ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় যেমন উদ্বোধনী সংখ্যা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ঈদুল ফিতর। ঈদ সংখ্যা এখন ম্যাগাজিন আকারেই প্রকাশিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ঈদ সংখ্যায় বিজ্ঞাপনের ওপর সর্বাধিক শ্রম ব্যয় করে কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনী সংখ্যা একটাই হয়, তাই এর জন্য বিশেষ অনুরোধ নিয়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে যান বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বছরে একবার আসে। এ সংখ্যাটিকেও সমৃদ্ধ করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। ঈদ সংখ্যার ব্যাপারটি ভিন্ন। ক্রেতাদের কাছে পণ্যের বা প্রতিষ্ঠানের খবর পৌঁছে দেয়ার জন্য বিজ্ঞাপনদাতারাও এখন এ সময়টি বেছে নিয়েছেন।  সময়টি তাদের কাছে আকর্ষণীয় কারণ মুনাফা অর্জনের একটি বড় সুযোগ ঈদ উৎসব। ঈদ সংখ্যার বিজ্ঞাপন খাতে একটা বড় বাজেট রাখে ছোট-বড় প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শিশুদের পোশাক এবং পুরুষের পাঞ্জাবি ঈদের বাজারের প্রধান পণ্য। প্রসাধন সামগ্রীর বাজারও বেশ বিস্তৃত। পাশাপাশি গৃহসামগ্রী বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচারও এখন ঈদের বাজারের পণ্যে পরিণত হয়েছে বিক্রেতাদের মার্কেটিং কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে।

স্বাধীনতার পর প্রথম ঈদ সংখ্যা প্রকাশিত হয় সম্ভবত ১৯৭২ সালে। ঐ বছরের মে মাসে ‘বিচিত্রা’ নতুন করে সাপ্তাহিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতার আগে এটি ছিল মাসিক রম্য ম্যাগাজিন। কয়েক বছর পর সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে ‘সচিত্র সন্ধানী’ ছিল সংস্কৃতি ঘেঁষা, ‘রোববার’ অনেকটা সাহিত্য নির্ভর আর ‘পূর্ণিমা’ রাজনীতি ও সাহিত্যকেন্দ্রিক নিবন্ধ নির্ভর। বিচিত্রা প্রথম দিকে রম্য ধাঁচের হলেও নির্ভরতা ছিল সংবাদের ওপর। ক্রমে পত্রিকাটি নিউজ ম্যাগাজিনে রূপ নেয়। একইসঙ্গে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতির সমকালীন ঘটনাগুলো বিশেষ আঙ্গিকে উপস্থাপন করে। পত্রিকাটি সাংবাদিকতায় উল্লেখযোগ্য ধারা তৈরি করেছে। ১৯৮০’র দশকে সাপ্তাহিক ‘যায় যায় দিন’ তৈরি করে আরেকটি নতুন ধারা। পত্রিকাটি ক্যালেন্ডার সাংবাদিকতার চাইতে নিজস্ব সিদ্ধান্তের আলোকে ঘন ঘন নানান বিষয়ে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়িয়েছে বিশেষ সংখ্যার আবরণে। দৈনিক পত্রিকাগুলো  ১৮/২৪ সাইজের পূর্ণ পৃষ্ঠাতেই ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করেছে দীর্ঘদিন। ম্যাগাজিন সাইজে তাদের ঈদ সংখ্যা প্রকাশ একবিংশ শতাব্দীর শক্তিশালী প্রক্রিয়া বলা যায়। এখন বড়-ছোট প্রায় সব দৈনিক পত্রিকাই ম্যাগাজিন আকারে ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করে। এর কলেবরও বেড়েছে। কেউ কেউ ছয়শ পৃষ্ঠার ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করছে সাম্প্রতিক সময়ে।

স্বাধীনতার পরপর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ ছিল বেশ পরিশ্রম সাপেক্ষ। বিজ্ঞাপনদাতা ছিল হাতে গোণা। বিজ্ঞাপন এজেন্সিও ছিল কম। মনে আছে ইস্ট এশিয়াটিক, বিটপি, ইন্টারস্পিড, কারুকৃত- এরাই ছিল প্রধান এজেন্সি। প্রধান কর্মকর্তারা ছিলেন আলী যাকের, রামেন্দু মজুমদার, এনায়েত করিম প্রমুখ। দিলকুশায় ইস্ট এশিয়াটিক, তোপখানায় বিটপি, মতিঝিলে ইন্টারস্পিড আর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কারুকৃত। পুরো ৭ ও ৮-এর দশকে সাপ্তাহিক বিচিত্রাই ছিল বিজ্ঞাপনদাতা ও বিভিন্ন এজেন্সির প্রধান পছন্দ।

সেই সময়ের ঈদ সংখ্যা হাতে নিলে কারিগরি মান সম্পর্কে এখনকার প্রজন্মের পাঠক মোটেও তৃপ্ত হবেন না। বেশ ক’বছর কভার ছাপানো হয়েছে দুই রঙে। কালির মান উন্নত ছিল না বলে পত্রিকা পড়ার পর হাতে কালি লেগে যেত। অনেক ক্ষেত্রে ছবি খুব স্পষ্ট হতো না। গল্প উপন্যাসের অনেক ইলাস্ট্রেশন ঝাপসা হয়ে যেত।

প্রথম বছর ঈদ সংখ্যার প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল অনেকটা ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মতো অবস্থায়। তবে ১৯৭৪ সাল থেকে একটা পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকাশ পেতে থাকে বিচিত্রার ঈদ সংখ্যা। সেটা প্রায় ৪৩ বছর আগের কথা। ঈদের কয়েক মাস আগে থেকেই নানান ধরনের পরিকল্পনা করা হতো। তবে সেই পরিকল্পনা স্থির থাকত না সঙ্গত কারণে; কখনো নির্দিষ্ট লেখা না পাওয়া, কখনো পছন্দের লেখা না পাওয়া বা কম্পোজের সংকট ছিল এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বিচিত্রার প্রথম দিকের কর্মীরা ছিলেন শাহাদত চৌধুরী, আহরার আহমেদ, শাহরিয়ার কবির, আজমিরি ওয়ারেস, মাহফুজউল্লাহ, শেখ আবদুর রহমান ও চিন্ময় মুৎসুদ্দী। সম্পাদক ছিলেন ফজল শাহাবুদ্দীন আর সম্পাদকমন্ডলির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান। ‘দৈনিক বাংলা’র  সম্পাদকমন্ডলির সভাপতি হিসেবে হাসান হাফিজুর রহমান ব্যবস্থাপনার দিকটাই দেখতেন প্রধানত। বিচিত্রার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে এ দায়িত্ব থেকে অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত। শিল্প সম্পাদক ছিলেন দৈনিক বাংলার তৎকালীন প্রধান শিল্পী কালাম মাহমুদ। আর পেস্টিং এ প্রধান দায়িত্ব পালন করতেন এককভাবে আহমেদ আলী। তাকে সহযোগিতা করতেন মুনীর হোসেন। মুনীরের নিয়োগ পিয়ন হলেও তিনি ক্রমে অনেকটাই সহকারী পেস্টার হয়ে যান। ঈদ সংখ্যার মূল পরিকল্পনায় শাহাদত চৌধুরীর ভূমিকা ছিল মূখ্য। লেখালেখি সংগ্রহ ও তা সামলানোর দায়িত্ব ছিল শাহরিয়ার কবির ও আজমেরি ওয়ারেস’র। মাহফুজউল্লাহ ও আমার ওপর দায়িত্ব ছিল রিপোর্ট তৈরি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ। আলোকচিত্রশিল্পী শামসুল ইসলাম আল মাজি আর অঙ্কনে সহকারী আহমেদ আলী।

এই সময় ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করা ছিল একটা বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। লেখা কম্পোজ হতো লাইনো পদ্ধতিতে। এটা ছিল হাতে কম্পোজের পরবর্তী ধাপ। আর আমরা সেই সময় থেকে নতুন একটা কিছু করার চেষ্টা করতাম। শাহাদত ভাই শুরু থেকেই চমক দেয়ার পক্ষে ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বর্ষপত্র, ব্যক্তি ও বিষয়ের ওপর অ্যালবাম প্রকাশ এসবেরই নিদর্শন। ১৯৭৪ সালের ঈদ সংখ্যায় প্রচ্ছদে চমক দেয়ার জন্য ঠিক করা হলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটা স্কেচ বা পেইন্টিং ব্যবহার করা হবে। শিল্পাচার্যের বাসায় গিয়ে নতুন চমক পেলাম তাঁর কাছ থেকে। শাহাদত ভাই তাঁর প্রিয় ছাত্র। সঙ্গে আছেন কালাম মাহমুদ, রফিকুন্নবী। জয়নুল আবেদিন বললেন, ‘পুরনো কেন, আমি তোমাদের জন্য একটা নতুন স্কেচ করে দেব।’ আমরা তো মহা খুশি। এ প্রসঙ্গে ঈদ সংখ্যার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে: ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে ভাবেন তাঁর সত্তা দিয়ে। তাঁর সমগ্র শিল্পরাজির কেন্দ্রবিন্দু এদেশের মানুষ ও জীবন ঘিরেই রচিত। ঈদ বিচিত্রার জন্যে তাঁর কাছ থেকে একটি স্কেচ চাওয়া হলে তিনি একটি নতুন ছবি এঁকে দিয়েছেন বিচিত্রার পাঠকদের জন্যে।’

১৯৭৪ সালে ৩১২ পৃষ্ঠার ঈদ সংখ্যার লেখক সূচিতে ছিলেন সেই সময়ের খ্যাতিমান লেখকরা। তিনটি উপন্যাস ও তিনটি উপন্যাসিকা উপহার দেন শওকত আলী, রাজিয়া খান, আমজাদ হোসেন, কাজী আনোয়ার হোসেন, আবদুস শাকুর ও আবু কায়সার। গল্প লিখেছেন সরদার জয়েনউদ্দিন, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, মাহবুব তালুকদার, বুলবন ওসমান, সাযযাদ কাদির। এ সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ জীবনানন্দ দাশের একটি লেখা- এ প্রসঙ্গে সম্পাদকীয় উদ্ধৃত করছি: ‘২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের এবং পরবর্তী ঢাকা শহরের রক্তাক্ত ঘটনাবলীর পরপরই জীবনানন্দ দাশ এদেশের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে চিন্তা করেছিলেন। লেখাটি কোনো সংকলনে এখনো ছাপা হয়নি। এই মূল্যবান লেখাটি আবদুল মান্নান সৈয়দ লিখিত ভূমিকাসহ পুনঃর্মুদ্রিত হলো।’

পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ, ফিচার, রম্যরচনা সমৃদ্ধ সংখ্যায় লিখেছেন আবুল ফজল, শামসুর রাহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, আহমেদ হুমায়ুন, বেলাল চৌধুরী, রফিক আজাদ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, আফজল চৌধুরী, খোন্দকার আলী আশরাফ। লেখা পেতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি। লেখকরা মোটামুটি সময়মতো লেখা জমা দিয়েছেন। খুব তাগাদা দিতে হয়নি আমাদের।

মহাশ্বেতা দেবীর ‘চোট্টিমুণ্ডা এবং তার তীর’ উপন্যাস হিসেবে প্রকাশিত হলো ১৯৮০ সালে। সেই সময় ঈদ সংখ্যায় বাংলাদেশের লেখকদের অগ্রাধিকার দেয় বিচিত্রা। আমরা নীতিগতভাবেই ভারতের পশ্চিম বাংলার খ্যাতিমান লেখকদের লেখা ঈদ সংখ্যায় প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেই। এ ব্যাপারে সকলে একমত ছিলাম। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের লেখকদের ব্র্যান্ডিং করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। ১৯৮০ সালে মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাস প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া নোটটি ছিল এরকম: ‘‘মহাশ্বেতা দেবী ‘অরণ্যের অধিকার’ উপন্যাসের জন্য গত বছর সর্বভারতীয় পর্যায়ে এ্যাকাডেমী এ্যাওয়ার্ড পান। অরণ্যের অধিকারের পরবর্তী পর্যায় এই বক্ষমান উপন্যাস ‘চোট্টিমুণ্ডা এবং তার তীর’। এটি সম্পূর্ণভাবেই খসড়া বলা চলে। এটি বাংলাদেশে ঔপন্যাসিক পাঠিয়েছেন কারণ অক্ষত অবস্থায় কোন ভারতীয় প্রকাশক প্রকাশ করতে রাজী নন।”

দৈনিক বাংলা ট্রাস্টের অধীনে বিচিত্রার শেষ ঈদ সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ৩০৮। এখানে ৬টি উপন্যাস, ৩টি গল্প, ২টি প্রবন্ধ, ১টি জীবনী, ২টি স্মৃতিকথা, একগুচ্ছ কবিতা ও ৪ পৃষ্ঠা কার্টুন ছিল। লেখক তালিকায় ছিলেন আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, সিরাজুল  ইসলাম, আশরাফ সিদ্দিকী, ওমর আলী, সিকদার আমিনুল হক, শামসুল ইসলাম, হাসনাত আবদুল হাই, রাহাত খান, ফজল শাহাবুদ্দীন, নির্মল সেন, সেলিনা হোসেন, মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, মঈনুল আহসান সাবের, শহীদ আখন্দ, আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দীন, রণজিৎ বিশ্বাস, মিনার মনসুর, ফারুক মাহমুদ, রওশন জামিল প্রমুখ।

ঈদ সংখ্যার প্রচ্ছদ এখন পাঁচ রঙে ছাপানো হয়। গ্রাফিক ডিজাইন করা হয় কম্পিউটারে। লেখার অক্ষর সাজানো (কম্পোজ), পেইজ মেইকআপ ও ফর্মা তৈরি করা হয় কম্পিউটারে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে দায়িত্ব পালন করেন কর্মীরা। ১৯৭০’র দশকে আমাদের গরমের মধ্যে ফ্যান বন্ধ করে ‘পেস্টিং’ করতে হয়েছে। রোলারে চাপ দিয়ে সেলোফেনের ওপর লেখা তুলে কাচি দিয়ে কেটে কেটে সেলোফেনের ডামিতে রাবার সলিউশন (আঠা) দিয়ে পৃষ্ঠা তৈরি করতে হয়েছে। প্রথম দিকে ৪৮ পৃষ্ঠা পেস্ট করে প্লেটের জন্য ডামি তৈরি করতে একটানা ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগেছে। এখনকার পরিপ্রেক্ষিতে সেটা স্বপ্নের মতোই মনে হয়। চিত্রভাষ্যের ভিডিও ছাড়া সেটা বুঝানো প্রায় অসম্ভব। এবং সেটা অসম্ভবই থেকে যাবে কারণ সেইসব কাজের ভিডিও কোথায়? তখন তো ভিডিও বলেই কোনো কিছু ছিল না। প্রিন্টিং টেকনলজির বিবর্তন নিয়ে ইতিহাসভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমেই কেবল সেসবের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা সম্ভব।

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এমন একটা প্রশ্ন হয়তো করা যায়- সংবাদপত্রের ঈদ সংখ্যা প্রকাশে টেকনলজির অগ্রগতি ঘটলেও কনটেন্টের ব্যাপারে কী আমরা খুব একটা এগোতে পেরেছি?

লেখক : প্রবীণ চলচ্চিত্র সাংবাদিক



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়