ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ড. কামাল হোসেন কাপুরুষ : মতিয়া চৌধুরী

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৪ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ড. কামাল হোসেন কাপুরুষ : মতিয়া চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের সাম্প্রতিক ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডরীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

সোমবার দুপুরে খাদ্য ভবনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘এত আইনের শাসনের কথা বলেন, কিন্তু যখন ১৫ আগস্টের খুনিদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো তখন কোথায় ছিল আইনের শাসন? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেন শেখ হাসিনা। সেখানে ড. কামাল হোসেনের ইহুদি জামাই ডেভিড বার্গমান সাংবাদিকতার ভিসা নিয়ে এসে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি করলেন। সেই কামাল হোসেন এখন আমাদের নীতিবাক্য শোনান।’

স্মৃতিচারণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৬ আগস্ট ড. কামাল হোসেনকে শেখ রেহানা যখন বলল, চাচা, একটা আবেদন জানান বিশ্বাবাসীর প্রতি যেন মোস্তাক সরকারকে সমর্থন না দেয়। তিনি রেহানার হাত ছাড়িয়ে দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলে তখন রেহেনা গিয়ে বলল, আপনি কথা দেন মোস্তাকের মন্ত্রী হবেন না। যখন ওসমানীকে (আতাউল গণি ওসমানী) প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট করা হলো, এই কামাল হোসেন ধমক খেয়ে ইলেকশনের আগের দিন পল্টন থেকে লেঙ্গুর (লেজ) গুটিয়ে চলে গেল। আর উনারা আসেন লম্বা কথা বলতে। মনে রাখেন ড. কামাল হোসেন, এই দেশ বীরবন্দনার দেশ। আপনাদের মতো কাপরুষ ষড়যন্ত্র করে এই দেশে আগাতে পারবে না।’

ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যাদের বয়স হয়েছে তারা জানেন, একটা ব্রিটিশ সংস্থা হয়েছিল সাহায্যর জন্য। তার নাম জন স্টোন হাউজ। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি। ওয়ান অ্যান্ড ওয়ান আমিরুল ইসলামকে দেখেছি তার সঙ্গে ছায়ার মতো ঘুরে বেড়াত। পরবর্তীকালে টাকা চিট করার কারণে ব্রিটিশ কোর্টে এই জন স্টোন হাউজের সাজা হয়। এই হলো আমিরুল ইসলাম।’

প্রধান বিচারপতির নাম না উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘নানান দিক দিয়ে হুংকার আসছে। বেশ শক্তমতো হুংকার। কিন্তু হুংকার যিনি দেন তিনি কে? আমি বলব, আমাদের শিল্পমন্ত্রীর ভাষায় যে সংসদ রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করে সেই রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উনি নির্বাচিত। আর উনি সংসদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে আসেন। আর তার একাডেমিক দিকটার কথা আমি বলতে চাই না। সাংবাদিক সাহেবরা তার একাডেমিক দিকটা খুঁজে বের করুন। যাহোক, তিন সেরের পাত্রে পাঁচ সের জিনিস দিলে যা হয় বর্তমান ঘটনা তাই হয়েছে। তিন সেরের পাত্রে পাঁচ সের জিনিস দিলে সেটা মানিয়ে উঠতে পারে না।

আর তিনি শেখ হাসিনার উদারতা আর আমাদের রাষ্ট্রপতির উদারতার সুযোগ নিয়ে একটা জায়গায় বসছেন। সেখানে উনি প্রথমে কী করলেন দেখেন নাই? উনার মানসীর মূর্তি বানিয়ে ঠিক বাংলাদেশের মানচিত্রটা ঢেকে দেওয়ার জন্য মূর্তি বসিয়ে দিলেন। সামনে ঈদ, তাই কয়েক ঘণ্টা বুঝিয়ে সেই মূর্তি নামানো হলো। তা না হলে রায়ট হয়ে যেত। সরকারের উদারতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবেন।’

খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ আগস্ট ২০১৭/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়