ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কেসিসি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে আ.লীগ: মঞ্জু

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেসিসি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে আ.লীগ: মঞ্জু

খুলনায় প্রেস ব্রিফিং করছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, কেসিসি নির্বাচনে পুলিশের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির মাধ্যমে সরকারের দানবীয় চেহারা ফুটে উঠেছে। প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একই সুরে কথা বলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরিবারের লোক নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ডেকে নিয়ে প্রভাবিত করছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’

শুক্রবার সকাল ৮টায় নগরীর মিয়াপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি একজন মেয়র প্রার্থী। আমার কাজ হচ্ছে ভোট প্রার্থনা করা। এই মুহূর্তে আমার ভোটারদের কাছে থাকার কথা ছিল। তা না করে আমাকে আবারো সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করতে হয়েছে। কারণ, এই নির্বাচনে সরকারের দানবীয় চেহারা আবারো ফুটে উঠেছে। বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ আবারো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পারচালনা করছে। গভীর রাত পর্যন্ত আমাকে মহানগরীর থানায় থানায় ঘুরতে হয়েছে। একদিকে ডিবি নামক আতঙ্ক, অন্যদিকে থানা পুলিশের তলব।’

মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের মিছিল বড় হচ্ছে, জমায়েত বড় হচ্ছে। এটা সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ। এত নির্যাতন সত্ত্বেও কীভাবে বিএনপির কাছে মানুষ যাচ্ছে, কীভাবে তারা রাস্তায় নামছে, এই ভেবেই আওয়ামী লীগ আবারো নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল শেষ করার সাথে সাথে তিনজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যেখানেই নির্বাচনী গণসংযোগ করি সেখানেই পুলিশ হাজির হয়ে যায়। নাম নোট করে ছবি তোলে নেতা-কর্মীদের। আমি নগরীর যে প্রান্তেই যাই গোয়েন্দারা অনুসরণ করে।’

আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মাদক ও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ নেই। অথচ আরো ১৭ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পাঁচ শতাধিক বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব করেও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। ১৫ তারিখের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন পরাজিত হবে এবং বিএনপি ও খুলনার জণগণের বিজয় হবে।’

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি খুলনায় ভোট পর্যবেক্ষণ করতে আসার আহ্বান জানান। জাতীয় ভোটের অ্যাসিড টেস্ট এই ভোট- এ কথা উল্লেখ করে তিনি ঢাকা থেকে জাতীয় সকল পর্যবেক্ষক ও সুধী সমাজকে এই ভোট পর্যবেক্ষণে আসার জন্য আহ্বান জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিজেপির মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জামায়াতের মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলম, বিজেপির নগর সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, শফিকুল আলম তুহিন, এহতেশামুল হক শাওন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবুসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/খুলনা/১১ মে ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সাইফুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়