ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

মন্ত্রণালয়গুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বুধবার

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৩ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মন্ত্রণালয়গুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বুধবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করতে যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এই চুক্তি সই হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষর করবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করবেন। সিনিয়র সচিব ও সচিবরা চুক্তি সইয়ের পর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করবেন।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা যেটাকে আমরা এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বলি, সেই অঙ্গীকারনামাটি বুধবার স্বাক্ষরিত হবে।’

জিয়াউল আলম বলেন, চলতি অর্থবছরেও রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প, পিপিপির আওতায় গ্রহণ করা প্রকল্প, সরকারের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও তাদের আওতাধীন অধিদফতর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলো চুক্তি সম্পাদন করবে। অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংগে অধীনস্ত দফতর, সংস্থার কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতর, সংস্থা ছাড়াও বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের দফতরকে এপিএ চুক্তির আওতায় আনা হয়।

‘এপিএ চুক্তি অনুযায়ী অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনুযায়ী নম্বর দেওয়া হয়, বলেন সচিব।

বিগত সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো চুক্তি অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জন করতে পেরেছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউল আলম বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রাপ্ত গড় নম্বর ৯১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘৩টি মন্ত্রণালয় সেরা স্থান অধিকার করেছে। ৪৭টি মন্ত্রণালয় ৮০-এর ওপরে নম্বর পেয়েছে। ৮০-র নিচে নম্বর পেয়েছে দুটি মন্ত্রণালয়। তবে ৮০ নিচে নম্বর পাওয়া দুটি মন্ত্রণালয়ের নাম উল্লেখ করতে চাননি সচিব। মন্ত্রণালয় দুটিকে তাদের প্রাপ্ত নম্বর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রণালয়গুলো চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো এপিএ-তে অন্তর্ভুক্ত করে না বলে অভিযোগ আছে-এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ঠিকই বলেছেন, এমন অভিযোগ আছে। এটা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কারিগরি কমিটি আছে, এই কমিটি সবার সঙ্গে আলাদা করে বসেছে।

তিনি বলেন, এসডিজি, ইজ অব ডুইং বিজনেসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইনডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আমাদের অর্জন করতে হবে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যে মন্ত্রণালয় এগুলো বাদ দিয়েছে, তাদের আমরা এগুলো অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছি।’

অনেক মন্ত্রণালয় দুর্বল টার্গেট নির্ধারণ করে-জানতে চাইলে সচিব বলেন, কেউ যদি দুর্বল টার্গেট নির্ধারণ করেন তবে আমাদের মূল্যায়ন সফটওয়্যার তা বলে দেবে। আমরা দুর্বল টার্গেটের বিষয়ে জানতে পারলে তাদের সঙ্গে কথা বলি। কারণগুলো জানতে চাই। জবাব সন্তোষজনক হলে রাখি, না হলে বাদ দিতে বলি।

**




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুলাই ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়