ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খালেদার মনোনয়ন বাতিল আইন বহির্ভূত : বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদার মনোনয়ন বাতিল আইন বহির্ভূত : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : খালেদা জিয়াকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার জন্য তার মনোনয়নপত্র ‘আইন বহির্ভূতভাবে’ বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে এজন্য সরকারকে দায়ী করেছে বিএনপি।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। আসন্ন নির্বাচনে বেগম জিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দেয়ার জন্যই তাকে সাজানো মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’

“রিটার্নিং অফিসাররা আইন বহির্ভূতভাবে ও অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। এটা সরকারের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তিনটি আসনে উনার পক্ষে আপিল করা হয়েছে।’ আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বলবো দেশনেত্রী বেগম জিয়ার প্রতি ন্যায় বিচার করুন। ইসি সংবিধান ও আইন অনুসরণ করলে এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বাসযোগ্য সিদ্ধান্ত নিলে খালেদা জিয়া অবশ্যই প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হলে তা হবে একটি বিশাল প্রহসন।’

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, ‘রোববার রাতে এইচ টি ইমামের বাসায় ইসি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছে। মতবিনিমরের নামে মূলতঃ গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়েছেন এইচটি ইমাম। এমনিতে ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে নির্বাচন কমিশন কঠোর বিধিমালা জারি করেছে। তাতেও আশ্বস্ত না হতে পেরে এখন গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণ করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে৷’

নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সারা দেশে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার হিড়িকে নেতাকর্মীদের জীবন বিপন্ন ও বিপর্যস্ত। কোন মামলা ছাড়াই অনেককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। তাদেরকে এলাকাছাড়া করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এর দায় নিতে হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে। কেননা, জনপ্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণসহ পুলিশ ও জনপ্রশাসনের সকল অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করুন। ক্রসফায়ার, গুম, খুন, গ্রেফতার মিথ্যা মামলা, দমন, নির্যাতন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সহায়তা করুন। নিজ দেশের নাগরিকদের গুম-খুনে নিজেদের হাতকে রঞ্জিত করবেন না। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ডিসেম্বর ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়