ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে প্রচারে নামেনি বিএনপি

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গোপালগঞ্জে প্রচারে নামেনি বিএনপি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে এখনো মাঠে নামেনি বিএনপি। কোথাও তাদের প্রচার চোখে পড়েনি। নির্বাচনী এলাকায় নেই পোস্টার বা মাইকিং। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে অসন্তোষ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। তাই দ্বিধা-বিভক্ত জেলা বিএনপি মাঠ নামতে পারেনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন- গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে এস এম জিলানী। এর মধ্যে এস এম জিলানী কারাগারে রয়েছেন। এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর গোপালগঞ্জ-১ ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে গোপালগঞ্জ-২ আসনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জেলা বিএনপির একাংশ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাই বিপাকে পড়েছেন গোপালগঞ্জ-১ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির দুই প্রার্থী।

গোপালগঞ্জের ৩টি আসনই আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে খ্যাত। এ তিনটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে আসছেন। বেশির ভাগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এবারও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত ৬টি নির্বাচনে এ আসন থেকে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিগত ৭টি সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান চারটি সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলা যুবদলের সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন জানান, আগামীকাল রোববার থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামবেন। তিনি আরো বলেন, গোপালগঞ্জ-১ আসনে এখনো নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামেনি। তবে, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নেতা-কর্মীরা সীমিত আকারে প্রচার চালাচ্ছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলী জানান, গোপালগঞ্জ-২ আসনে সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন নেতা-কর্মীকে জানাননি। তিনি তার একজন্ কর্মচারীকে দিয়ে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাচাই-যাচাই ও প্রতীক বরাদ্দের সময়ও তিনি আসেননি এবং কিছু জানাননি।

তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত প্রাধান্য না দেওয়ায় আমরা গোপালগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচন বয়কট করেছি।’’   

জেলা বিএনপি সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। পোস্টার ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার না চালানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুতই পোস্টার লাগানো হবে এবং মাইকিং করে প্রচার চালানো হবে।



রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১৫ ডিসেম্বর ২০১৮/বাদল সাহা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়