ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শম্পার কষ্ট ও মুগ্ধতার গল্প

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শম্পার কষ্ট ও মুগ্ধতার গল্প

পায়রা নদীর পাড়ে শম্পা হাসনাইন

আমিনুল ইসলাম শান্ত : ‘জার্নিটা অনেক ভয়ংকর ছিল। কারণ গোড়ায় গন্ডগোল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শুটিং ছিল। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় আমার লঞ্চ ছাড়ার কথা। লঞ্চ জার্নির লোভে মূলত আমি বরগুনায় শুটিং করতে যেতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু ওইদিনের শুটিং শেষ করে ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে যাই। সর্বশেষ লঞ্চটা আমি মিস করি। কি করব শুটিং তো করতে হবে! তারপর বাসে রওনা দিই বরগুনার উদ্দেশ্যে।

গত কয়েকদিন টানা শুটিংয়ের পর সারা রাতের বাস জার্নিটা ভয়ংকর রকম কষ্টের ছিল। কিন্তু শহরে নেমে মনটা ভরে যায়। শহরটা এত সুন্দর! শহরের চারিপাশে সবুজ আর সবুজ। এমন দৃশ্য দেখে সত্যি সব কষ্ট ভুলে যাই।’ এভাবেই রাইজিংবিডিকে কথাগুলো বলেন ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ খ্যাত অভিনেত্রী শম্পা হাসনাইন।

‘মেঘ’ শিরোনামের একক নাটকের শুটিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন শম্পা। বসন্ত ঋতুতেও অল্প বিস্তর শীত এখনো রয়েছে। তাই নদী পথে প্রকৃতির লীলা দেখার লোভ তাকে বশ করেছিল। প্রকৃতির মোহনীয় টানে যে কোনো মানুষই কুপোকাত তা আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন এই অভিনেত্রী। সর্বশেষ প্রকৃতির রূপে স্নান করতে পেরেছেন তাতে অনেক খুশি শম্পা।

অনিমেশ সাহা লিটুর রচনায় ‘মেঘ’ শিরোনামের নাটকটি পরিচালনা করেছেন রিয়াদ মাহমুদ। আর এতে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শম্পা। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওয়াসিম যুবরাজ।

নাটকে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে শম্পা হাসনাইন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি এতে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকের গল্পে পুরো গল্প আমি বর্ণনা করেছি। ফ্ল্যাশ ব্যাকে দেখা যাবে- কলেজ লাইফে আমি একটি ছেলেকে ভালোবাসি। শুধু ভালোবাসি না অনেক ভালোবাসি। এক পর্যায়ে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটি নেশাগ্রস্ত, ভালো না। তারপর আমি অনেক ভেঙে পড়ি। একবার সিদ্ধান্ত নিই আত্মহত্যা করব। কিন্তু এক সময় নিজেকে এখান থেকে সরিয়ে আনি। মন শক্ত করি। সিদ্ধান্ত নিই ছেলেটাকে শাস্তি দিব। তারপর গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।’

কলেজ জীবন কেটেছে বেশ আগে। অনেক দিন পর কলেজ পড়ুয়া একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করলেন। প্রকাশিত স্থিরচিত্রে দেখতেও কলেজের শিক্ষার্থীর মতো মনে হচ্ছে। এসব দৃশ্যের শুটিংয়ের অনুভূতি জানতে চাইলে শম্পা বলেন, ‘বেশ আগে মাটির পিঞ্জিরা সিনেমায় ক্লাশ নাইন পড়ুয়া মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তখন স্কুল ড্রেস পরেছিলাম। আবার দীর্ঘদিন পর কলেজ ড্রেস পরলাম। শুটিং সেটে কলেজ ড্রেস পরেই প্রথমে মাকে একটা সেলফি পাঠিয়েছিলাম। তারপর আম্মু জানায় তুমি কোন কলেজে পড়? আসলে এটাই মজার। একজন শিল্পী যখন চরিত্র অনুযায়ী পোশাক বা সাজ নেয় তখন আপাদমস্তক পাল্টে যায়। আমিও শুটিংয়ের সময় পাল্টে গিয়েছিলাম। মাথায় ঝুঁটি বেঁধেছিলাম, কাঁধে ব্যাগ ছিল। ঠিক যেন আমার কলেজ জীবন।’

গত ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি বরগুনা শহর, পায়রা নদীর পাড়, বরগুনা মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় বৈশাখী টেলিভিশনে নাটকটি প্রচারিত হবে।

বর্তমানে টেলিভিশন নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিত্রনায়িকা শম্পা। একক নাটকের চেয়ে ধারাবাহিক নাটকের কাজ বেশি করছেন এই অভিনেত্রী। তার অভিনীত একাধিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘ফুলের কাঁটা’(এটিএন বাংলা), ‘সাদা কালো মেঘ’(জিটিভ), ‘সানফ্লাওয়ার’(এনটিভি)প্রভৃতি।

‘মাটির পিঞ্জিরা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে শম্পার। ‘লাভ ইউ প্রিয়া’, ‘স্কিউজ মি’, ‘ওয়ান ওয়ে রোড’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/শান্ত/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়