ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শহীদ মিনার অবমাননায় খালেদার সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শহীদ মিনার অবমাননায় খালেদার সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রদ্ধা নিবেদনকালে শহীদ মিনারের অবমাননা করায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এ কারণেই শহীদ মিনারে কোথায় ফুল দিতে হয় তা তারা জানে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এরা দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় কীভাবে উপলব্ধি করবে, এদের মন তো স্বাধীন বাংলাদেশে নেই, এদের মন পড়ে থাকে হাজার মাইল দূরে পেয়ারের পাকিস্তানে। যারা (বিএনপি-জামায়াত) দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানায়, আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, তাদের কাছে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের কোনো মূল্য থাকতে পারে না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। অথচ পরাজিত পাকিস্তানিদের সুরে দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত নেত্রী, যিনি দুবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি বলেন, ৩০ লাখ মানুষ নাকি মারা যায়নি! পাকিদের প্রতি তার কতো প্রেম তা দেখুন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষার প্রতিও বিএনপি নেত্রীর এতটুকু সম্মান নেই। শহীদ মিনার অত্যন্ত পবিত্র স্থান। শহীদ মিনারের যে স্থানটিতে (বেদি) রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ সবাই শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, সেই স্থান মাড়িয়ে বিএনপি নেত্রী দলবল নিয়ে উঠে গিয়ে ফুল দিয়েছেন। বেদি ছেড়ে উনি কোথায় ফুল দিলেন? নিজের পায়ে কি ফুল দিলেন? মধ্যরাতে বেরোনোর কারণে উনি (খালেদা জিয়া) বেতাল থাকতে পারেন। কিন্ত তার দলের নেতারা তো তাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের ঠিক জায়গাটা দেখিয়ে দেবেন। তার সঙ্গে দলের নেতারাও মধ্যরাতে বেতাল ছিলেন কিনা জানি না। যেখানে সবাই শ্রদ্ধা জানালেন, বিএনপি নেতা তার ওপর উঠে মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্ট করে দিয়ে আসলেন।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অধ্যাপক মেরিনা হোসেন, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও কবি নির্মলেন্দু গুণ।

সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষাশহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নৃপেন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়