ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘তিস্তা ছাড়া কোনো চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ১৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘তিস্তা ছাড়া কোনো চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জনগণের মতামত ছাড়া কোনো চুক্তি হলে তা মানা হবে না। এই মুহূর্তে তিস্তা ছাড়া আর কোনো চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি-কাঁচার মিলনায়তনে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি চুক্তি হতে পারে- সেটি হচ্ছে তিস্তা চুক্তি। তিস্তা চুক্তিই হচ্ছে সব থেকে উল্লখযোগ্য বিষয়। এটি ছাড়া আর কোনো জরুরি চুক্তি নেই।’

তিস্তা চুক্তির পাশাপাশি পানির ন্যায্য হিস্যা নির্ধারণের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে যে নিরাপত্তা চুক্তি করার কথা বলা হচ্ছে, তার সমালোচনা করেন বিএনপির এই অন্যতম নীতিনির্ধারক।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তার কোন বিষয়টি হঠাৎ স্পর্শকাতর হলো যে, নিরাপত্তা চুক্তির প্রয়োজন পড়ল? জনগণের কাছে সেটি পরিষ্কার করতে হবে যে এই এই কারণে নিরাপত্তা চুক্তি করতে হচ্ছে। জনগণকে না জানিয়ে কোনো চুক্তি হতে পারে না। যেকোনো ধরনের চুক্তি হলে আগে জনগণের মতামত নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। পানি চুক্তি না করে নিরাপত্তা চুক্তি করা হচ্ছে। এই ধরনের চুক্তি জনগণ মানবে না।’

দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এ অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের সমর্থনহীন সরকারের দর্বলতার কারণে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। এখন বলয় পরিবর্তন করা হচ্ছে। কার অনুমতি নিয়ে বলয় পরিবর্তন করছে?’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার কিছুই নেই। সব আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি হয়ে পড়েছে।’

ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এতো এতো চুক্তি হলো, অথচ আজ পর্যন্ত তিস্তা চুক্তি হলো না। যেখানে তিস্তা চুক্তিই হলো না, সেখানে অন্য কোনো চুক্তি হতে যাচ্ছে কীভাবে?’

যেকোনো ধরনের চুক্তির আগে সেটি প্রকাশের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের জানার অধিকার আছে যে, কী চুক্তি হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা এক-এগারোতে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন সাহসী রাজনীতিবিদ। দল ও দেশের ত্রান্তিকালে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা দেশবাসী মনে রাখবে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৭/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়