ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘মমতা নাখোশ করে দিলেন’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মমতা নাখোশ করে দিলেন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে নাখোশ করেছেন।’

বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা মিনিমাম (ন্যূনতম) ন্যায্য অধিকারও পেলাম না। গতকাল মমতা একেবারেই নাখোশ করে দিলেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (মমতা) বললেন, তিস্তায় কোনো পানি নাই। আমি পানি দিতে পারব না। এমনকি গঙ্গা ব্যারেজে যে বাঁধের কথা বলা হয়েছে তাও হচ্ছে না। এখন বলা হচ্ছে নো ম্যানস ল্যান্ডে করার জন্য, তার মানে আরো ৫০ বছর।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদ’। ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

সোমবার কোচবিহারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু। বাংলাদেশকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু তিস্তায় জল না থাকলে কী করব? উত্তরবঙ্গের চাষের কাজে জল দিয়ে বাড়তি জল থাকলে তা দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যকে বঞ্চিত করে জল দিতে পারব না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনো ভারতবিরোধী নই। দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার। অথচ আমরা আমাদের পাওনার কথা বললেই ভারতবিরোধী হয়ে গেলাম। আমার ন্যায্য অধিকার যদি কেউ হরণ করে নেয়, যদি নেতৃত্ব কেউ হরণ করে তাহলে প্রতিবাদ করব না?’

সরকার দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাওরের পানি কোথা থেকে এসেছে? তারা (ভারত) বাঁধ দিয়েছে। যখন বেশি বৃষ্টি হয়, পানি বেশি হয়, তখন পানি ছেড়ে দেয়, আমরা তলিয়ে যাই। অথচ আন্তর্জাতিক আইন আছে, অভিন্ন নদীগুলোর ওপর বাঁধ দেওয়া যাবে না। আমরা ন্যায্য অধিকার চাই। এজন্য বলব, প্রয়োজনে সরকারের এ ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাওয়া উচিত।’

বিএনপি একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, এ কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এজন্য সরকারকে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। অন্য কোনো পথে নয়, বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন চায়। তবে সেই নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনী পরিবেশ দিতে হবে।’

মঙ্গলবার গাইবান্ধায় বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মীকে সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মামলাগুলোতে যাদের সাক্ষী আনা হয়েছিল, তাদের কেউ বলেনি যে, যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা জড়িত ছিল। জুডিশিয়ারির হাত-পা যদি বেঁধে দেন, সাংবাদিক ভাইদের হাত-পা যদি বেঁধে দেন, দেশের মানুষ যাবে কোথায়?’

সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে না আসতে পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না।’

মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন জিমির সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোক্তাদির হোসেন তরু প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৭/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়