ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঐক্যবদ্ধ থাকবে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঐক্যবদ্ধ থাকবে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভেদ ভুলে দলীয়স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সামনে অঙ্গীকার করেন দলের নেতারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক রুদ্ধদার বৈঠকে নেতারা এই প্রতিশ্রুতি দেন বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্ব অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।

নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকসহ সংসদ সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে ওবায়দুল কাদের ধারাবাহিকভাবে জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এরই  অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, ওবায়দুল কাদের বৈঠকের শুরুতে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কথা বলার ফ্লোর দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি তুলে ধরে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ উত্থাপন করেন। জেলা সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম সভাপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে বিগত সময়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অসযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

মমতাজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রার্থী ছিলাম। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু আমার সভাপতি নির্বাচনে কোনোরকম সহযোগিতা না করে ষড়যন্ত্র করে। এই অভিযোগ আমি ইতিমধ্যেই আপনাদের কাছে লিখিতভাবে জমা দিয়েছি। জেলা সাধারণ সম্পাদকের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতিও তার যুক্তি উপস্থাপন করে ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা হবে না বলে নেতাদের সামনে অঙ্গীকার করেন।

এ ছাড়া বৈঠকে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তাফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তাদের কোনো মতামত নেয়নি। তারা একক সিদ্ধান্তে কেন্দ্রে নাম পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নীলফামারীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় তাকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উত্থাপন করেন।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতে যাতে নিয়মবহির্ভূত এমন ঘটনা না ঘটে। আর যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত করব। তদন্তে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কিন্তু জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করে এমন অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। আপনারা দলীয়স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন থেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের কাজ শুরু করে দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ এপ্রিল ২০১৭/নৃপেন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়