ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কেন্দ্র থেকে তৃণমূল দপ্তর সমন্বয়ের উদ্যোগ আ.লীগে

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২১ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল দপ্তর সমন্বয়ের উদ্যোগ আ.লীগে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দপ্তর সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ লক্ষে জেলা, উপজেলা ও মহানগর দপ্তর ও উপদপ্তর সম্পাদকদের বিভিন্ন নির্দেশনা ও করণীয় সম্পর্কে অবগত করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে প্রিয়াংকা কমিউিনিটি সেন্টারে দপ্তর কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের অফিস (কার্যালয়) নেই। তারা এখানে ফরম আছে, ফরমে লিখে দিয়ে যাবেন। এগুলো জমা না দিয়ে কেউ ঢাকা শহর ছাড়বেন না। যেখানে অফিস নেই সেখানে আমরা অফিসের ব্যবস্থা করে দেব। আমাদের পার্টির অভিভাবক শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। নেত্রী চাইছেন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দলের যেন একটা নিজস্ব একটা কার্যালয় থাকে। সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই জরুরি নির্দেশনা। আপনাদের জেলার যেসব উপজেলা আছে, সেখানে কাদের অফিস আছে, কাদের অফিস নেই, কারা ভাড়ায় আছে- সব কিছুই উল্লেখ করে যাবেন। একটু সময় লাগলেও আপনারা এই কাজটি করে যাবেন।’

তৃণমূল নেতাদের বিভিন্ন নির্দেশনায় তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে জেলা পর্যায়ে সার্কুলার, পোস্টার, নির্দেশনা যায়। কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি, চিঠিপত্র, পোস্টারগুলো তৃণমূলের সংশ্লিষ্টদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দেবেন। দল করলে দলের প্রতি কমিটমেন্ট নিয়ে এগুলো করতে হবে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে দলের কার্যালয়গুলোতে সার্বক্ষণিক নেতাদের পক্ষে একজনকে থাকতে হবে।

গতকাল গণভবনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভার উদ্দেশ্য তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্ধিত সভা মানেই নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। আমাদের নেত্রী, আমাদের অভিভাবক পুরো গাইডলাইন দিয়েছেন। তার গাইডলাইন অনুযায়ী চলতে হবে। দল করলে দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে। দলের নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। কিন্তু  আপনাদের আচরণে আওয়ামী লীগ সরকারের এতো উন্নয়নের পরেও যেন বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও ছাড় দেন না।

নেতাকর্মীদের সবাইকে জনগণের সঙ্গে ভাল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়নের ভোটকে খারাপ আচরণ দিয়ে নষ্ট করে দিবেন না। জনগণের সঙ্গে ভাল আচরণ করতে হবে। আপনারা তো উন্নয়ন করছেন না, উন্নয়ন করছেন শেখ হাসিনা। উন্নয়নের ভোট আছে। কিন্তু এই ভোটকে যদি খারাপ আচরণ দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক।

মিডিয়া অত্যন্ত সেনসেটিভ বিষয়। মিডিয়ার সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কাজেই মিডিয়াকে কেয়ারিংয়ের সঙ্গে হ্যান্ডেলিং করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং পরিচালনা করেন উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, আব্দুস সবুর, শামসুন্নাহার চাঁপা, এস এম কামাল হোসেন, মারুফা আকতার পপি প্রমুখ।

এছাড়াও সারা দেশ থেকে আগত জেলা, উপজেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর ও উপদপ্তর সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৭/নৃপেন/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়