ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিএনপির সহায়ক সরকারের রুপরেখা ঈদের পর

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিএনপির সহায়ক সরকারের রুপরেখা ঈদের পর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসা বিএনপি আগামী ঈদের পর ‘সহায়ক সরকারের’ রুপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরবে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে জাগপা সভাপতি মরুহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে এই শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন বাংলার মাটিতে আর হতে দেওয়া হবে না। কিন্তু অবৈধ সরকার আবার নীল নকশার নির্বাচনের দুঃসাহস করছে। কিন্তু ওই ধরনের নির্বাচন আর ভবিষ্যতে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। এদেশের জনগত তা প্রতিহত করবে।’

রোজার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রুপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরবে বলে জানান বিএনপির এই নীতি নির্ধারক।

বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কেন অনুমতি দেয়নি সেটা বুঝতে জনগণের আর বাকি নেই। এই সরকার জনগণকে ভয় পায়। তারা বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশকে ব্যবহার করছে।’

বিএনপির ভিশন-২০৩০ নিয়ে সরকারের অস্থিরতা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ।

‘বিএনপির ভিশন দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণিসহ সকলে মনে প্রাণে গ্রহণ করায় সরকারের নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। কারণ এই সরকারের মধ্যে এখন আর আওয়ামী লীগতন্ত্র ও গণতন্ত্র নেই, তারা টিকে আছে পুলিশতন্ত্রের উপর।’

এ সময় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির সমালোচনা করে তিনি বলেন, কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে যে কাজটি পুলিশ করেছে, তা সভ্য সমাজে হতে পারে না।

নির্বাচন পদ্ধতি ইভিএম ব্যবহার বিএনপি মানবে না জানিয়ে দলটির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘ইভিএম ভুলে যান, এটা বিএনপি চায় না।এই পদ্ধতিটি ইতিমধ্যে অনেক দেশ বাতিল করে দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে অন্য জায়গা থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’

স্মরণ সভায় বক্তরা শফিউল আলমের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করে বলেন, ‘তিনি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, কথা বলেছে। তার শিষ্টাচার ছিল প্রশংসনীয়। জাতীয়তাবাদের চিন্তা চেতনাকে লালন করতেন। দেশের বর্তমান সময়ে তার দরাজ কণ্ঠ খুবই প্রয়োজন ছিল।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৭/রেজা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়