ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি, আতঙ্ক

আলী আকবর টুটুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ১৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি, আতঙ্ক

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের অনেক সরকারি কর্মকর্তার কাছে ফোনে চরমপন্থি পরিচয়ে টাকা দাবি করায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল-জনযুদ্ধ) পরিচয়ে বাগেরহাট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে কয়েক দিন ধরে ফোনে দফায়-দফায় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবিকৃত টাকা না পেলে  হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

হুমকিপ্রাপ্তরা নিরাপত্তা চেয়ে লিখিতভাবে বিষয় থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন। তবে পুলিশ বলছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এসব হুমকিদাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

বাগেরহাট বিদুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার দাপ্তরিক ল্যান্ডফোনে কল এলে তিনি রিসিভ করার পর নিজেকে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-জনযুদ্ধ) সদস্য শিমুল পরিচয় দিয়ে ফোনটি তার কথিত বস দাদা তপনের কাছে দেন। দাদা তপন তার কাছে দলের নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা ও বিভিন্ন খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জীবননাশের হুমকি দেন।

বাগেরহাট বিদুৎ অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে চরমপন্থি পরিচয়ে জীবননাশের হুমকি দেন। ওই দিনই বিদুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বাগেরহাট মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

গত কয়েকদিন চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের প্রধান দাদা তপন, শিমুল ও হাতকাটা বিল্পব পরিচয় দিয়ে বাগেরহাট বিদ্যুৎ বিভাগ, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এলজিইডি, মোল্লাহাট শিক্ষা অফিস, প্রাণিসম্পদ বিভাগ এবং কচুয়া শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন উপজেলার  কর্মকর্তাদের মোবাইলে ফোন করা হচ্ছে। ফোন করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাট এলজিইডি অফিসের পাঁচজন কর্মকর্তাকে চরমপন্থি পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকির পর বাগেরহাট এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাগেরহাট এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম রাব্বানী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত তিন দফায় মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। প্রথম দফায় ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই পরিমাণ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় পরবর্তীতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।

ওই অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী সাহিদ আলম ভূঁইয়া জানান, প্রায় একই সময়ে তাকে ফোন করে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় চাঁদা দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন,  পুলিশ মোবাইল ট্রাক করে হুমকিদাতার অবস্থান মোটামুটি জানতে পেরেছেন। মিথ্যা নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ তাকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই হুমকিতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

এক সময়ে চরমপন্থি অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে বর্তমানে চরমপন্থিদের কার্যক্রম নেই বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।



রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/১৪ জুলাই ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়