ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘আওয়ামী লীগ না চাইলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ১৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আওয়ামী লীগ না চাইলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না চাইলেও বিএনপি আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন এখন অনেক অ্যালায়েন্স হবে। অনেক নতুন নতুন ধারার সৃষ্টি হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গণতন্ত্রের এই দিকটাকে স্বাগত জানাই। এগুলো গণতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই কালচার স্বাভাবিক ধারায় চলতে থাকুক। আমরাও এটা চাই। তবে এই অ্যালায়েন্সের ক্ষেত্রে যে ঐক্যই হোক শেষ পর্যন্ত একটাও টিকবে না। শেষ বিষয়টা এই রকম। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে ...। না চাইলেও বিএনপি আসবে? আমরা না চাইলে বিএনপি আসবে।’

এ সময় শোকাবহ আগস্টের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। গৃহীত কর্মসূচিগুলোতে নেতা-কর্মীদের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে কর্মসূচি প্রস্তুতি এবং পালন করার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে পোস্টার, ব্যানার বিলবোর্ডে সবাইকে ১৫ আগস্টের ভাবগাম্ভীর্য, চেতনা ও আবেগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রচার-প্রকাশনার নির্দেশনা দেন তিনি।

কিছু কিছু  ভুঁইফোড় সংগঠন যাতে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের। কেউ জোর করে এসব করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে অবহিত করতে বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরে দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্রের সংশয় করছেন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্র দেশের বাইরে গিয়ে করতে হবে কেন? আর আজকাল টেকনোলজি, ডিজিটাল যুগ, ইন্টারনেটের যুগ। কন্সপিরেসি করতে হলে দেশের বাইরে যেতে হবে কেন? দেশের বাইরে গিয়ে যদি দেশের বিরুদ্ধে কিছু তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন বা করেন, সেটা তো গোপন থাকবে না। যদি তেমন কিছু হয় তখন রি-অ্যাকশন দেব। এখন কেন? ওনি তো যাচ্ছেন? সরকার তো বাধা দিচ্ছে না। পারলে তো তারা বলে ফেলে, সরকার বাধা দিচ্ছে।’

গতকাল আ স ম আবদুর রবের বাসায় বৈঠকে পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমি এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আ স ম রব ভাই ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তেমন কোনো ঘটনা যদি হয়ে থাকে, তার সঙ্গে আমার মোবাইলে যোগাযোগ আছে। তিনি আমাকে জানাতেন? আমি এই ধরনের কোনো নিউজ কোথাও দেখিনি। তারপরও আমরা খোঁজ নেব। দরকার হলে আমি কথা বলব। এখন আমি অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়তে চাই না।’

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার বর্তমান সরকারের মেয়াদেই শেষ হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আব্দুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের শাহে আলম মুরাদ, সাদেক খান, আজিজুল ইসলাম রানা, যুবলীগের হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা অ্যাডভোকেট মো. আবু কাওছার, যুব মহিলা লীগের নাজমা আকতার, অপু উকিল, ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান সোহাগ, এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুলাই ২০১৭/নৃপেন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়