ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে বিতর্কের অবসান ঘটাতে পারেন’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২৪ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে বিতর্কের অবসান ঘটাতে পারেন’

সচিবালয় প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েই বিতর্কের সূচনা করেছেন।  প্রধান বিচারপতি স্বপ্রণোদিত হয়ে পদত্যাগ করে এ বিতর্কের অবসান ঘটাতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে যোড়শ সংশোধনী নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে নিজেই বিতর্কের সূচনা করছেন, সরকার করেনি। আশা করি তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে পদত্যাগ করে এ বিতর্কের অবসান ঘটাবেন।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে  দেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। তাই এ রায় অগ্রহণযোগ্য।  তার (প্রধান বিচারপতির)  বক্তব্যের উদ্দেশ্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নয়, বরং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে বিতর্কিত করা। রায়ের পরে  উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পাকিস্তানের উদাহারণ টেনে এনে আরো  উত্তেজনা বাড়িয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় সাংবিধানিক কিংবা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেনি। এমনকি সরকার ও বিচার বিভাগকে মুখোমুখিও করেনি। মনে রাখতে হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে বিচারকাজ ও বিচার প্রক্রিয়ায় সরকার বা বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ কিংবা প্রভাব না থাকা।’

মন্ত্রী বলেন,  ‘সরকার রায়ের  পর কোনো প্রশ্ন তোলেনি বা রায়ের প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপও করেনি। রায়ের বিষয় বহির্ভূত প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি যে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্যই বিতর্কের সূচনা করেছে। সরকার কোনো বিতর্কের সূচনা করেনি। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের ব্যক্তিবর্গ প্রধান বিচারপতির অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যের উত্তর দিয়েছেন মাত্র।’

তিনি বলেন, ‘বতর্মান সরকার কখনোই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করতে চায় না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপও করতে চায় না। বিচার বিভাগ সংবিধানের প্রতিনিধিত্ব করছে, জনগণের নয়। প্রধান বিচারপতি এ রায় দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্বও করতে চান।’

ইনু বলেন, ‘আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, যেসব বিচারপতিরা অবৈধ সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়েছেন, জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন, দুর্নীতি করেছেন, আজ পর্যন্ত তাদের বিষয়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আদালতের বারান্দায় কোনো বিচারপতির রায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রসঙ্গে খণ্ডিত-বিকৃত-উদ্দেশ্যমূলক কোনো রায়ের নামে ইতিহাসের ভ্রান্তচর্চার মাধ্যমে জাতির ইতিহাস বিকৃতিও ঘটানো সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে স্বাধীন বাংলাদেশ তার নিজস্ব পথেই চলবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ আগস্ট ২০১৭/আসাদ/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়