ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তে লঞ্চ বেশি, যাত্রী কম

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেষ মুহূর্তে লঞ্চ বেশি, যাত্রী কম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে রাজধানীর সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও তা টার্মিনালে অপেক্ষমান দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের সংখ্যার তুলনায় কম।

শুক্রবার সকালে যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকলেও দুপুরে দিকে ভিড় কমতে থাকে। শেষ বিকেলে ঘুরমুখো মানুষের চাপ বাড়েছে।  তবে যাত্রীদের তুলনায় টার্মিনালে অপেক্ষমান লঞ্চের সংখ্যা বেশি।

বিআইডব্লিটিএর যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) জয়ানাল আবেদিন রাইজিংবিডিকে বলেন, গতকাল ও আজ সকালে দক্ষিণাঞ্চলের নৌযানগুলোতে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ থাকলেও বিকেলের দিকে ভিড় খুব একটা বেশি না। মোটামুটি ভিড় বলা যায়। বর্তমানে যাত্রীদের তুলনায় জাহাজ বেশি আছে ঘাটে। 

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত ৭৮টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে রাজধানী ছেড়েছে। এখনো অর্ধশত লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। আজ ১০০ থেকে ১১০টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যেতে পারে। এর মধ্যে নিয়মিত ও বিশেষ সার্ভিস আছে। সকালের দিকে নির্ধারিত সময়ের আগে অনেক লঞ্চ ঢাকা ছাড়লেও দুপুরের পর থেকে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যে লঞ্চ দুপুরে ছেড়ে যাওয়ার কথা সেই লঞ্চ যাত্রীদের অপেক্ষায় অনেক পরে সদরঘাট ছেড়ে গেছে। আমরা সাধারণত লঞ্চে অতিরিক্ত ভিড় দেখলে তা ঘাটে রাখতে দেই না।

সকালের দিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার দায়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে, এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি মুহূর্তে আমাদের ক্যাম্প থেকে মাইকে যাত্রী ও লঞ্চ মালিকদের সতর্ক করা হচ্ছে। বিআইডব্লিটিএর অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক কাজ করছে। মনিটরিংয়ের জন্য কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশ ও নৌপুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। অতিরিক্ত যাত্রী দেখলে তাদের নেমে যেতে ও লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু আজ নয়, এর আগেও ছয়টি নৌযানের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার ১৪৮টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে গেছে। নিয়মিত লঞ্চ সার্ভিসের পাশাপাশি ছিল বিশেষ সার্ভিস। এবারে ঈদুল আজহায় চাঁদপুর, বরিশাল, পুটয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২৮টি নৌরুটে ঈদের বিশেষ সার্ভিস দেওয়ার লঞ্চ ও স্টিমারগুলো হলো- সুন্দরবন-৮, ১০, ১১, ১২, সুরভী-৭, ৮, ৯, পারাবত-২, ৯, ১০, ১১, ১২, এমভি টিপু-৭, এমভি ফারহান-৮, কীর্তনখোলা-১, ২, দীপরাজ, কালাম খান-১, তাসরিফ-১, ৪, অ্যাডভেঞ্চার-১, দেশান্তর ও গ্রিনলাইন ২ ও ৩ সহ আরো কয়েকটি লঞ্চ।

এর পাশাপাশি অতিরিক্ত সার্ভিস দেওয়ার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছয়টি স্টিমার। এগুলো হলো- পিএস টার্ন, এমভি মধুমতি, পিএস মাহসুদ, এমভি বাঙ্গালী, পিএস অস্ট্রিচ ও পিএস লেপচা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়