ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঈদে সতর্ক পুলিশ

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদে সতর্ক পুলিশ

মাকসুদুর রহমান : ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়েছে বেশিরভাগ মানুষ। শুধু রাস্তাঘাটই নয়, বাসাবাড়ি, অলিগলি ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে ঈদ আনন্দে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন বাদ সাধতে না পারে সেজন্য পুরো রাজধানী নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন,  ‘ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রাজধানীতে মোতায়েন রয়েছে। ঈদের পর ঢাকায় ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের টহল থাকবে। থাকবে চেকপোস্ট। অন্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নগরবাসীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া অব্যাহত আছে গোয়েন্দা তৎপরতা।’

ঈদের দিন কোনো ধরনের হুমকি আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘না, তেমন কোনো হুমকি নেই। তারপরও পরিস্থিতি বিবেচনায় আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

পুলিশ ও র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি। থাকবে চেকপোস্ট। সন্দেহভাজন ব্যক্তি, গাড়ি, ব্যাগ মেটাল ডিটেকটর, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও ম্যানুয়াল চেকিংয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। আর র‌্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিজ নিজ এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করছেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রাজধানীর সবকটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথে বাড়তি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কূটনৈতিক ও মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। আর বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশান ও বারিধারার সব দূতাবাস এবং সংলগ্ন সড়কে থাকছে বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। সচিবালয়সহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পোশাক পরিহিত বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কিছু স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, আড়ৎ, স্পর্শকাতর স্থান, সড়ক, স্থাপনা, মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরতে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।

শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঈদগাহ ময়দানের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা আর্চওয়ে এবং পুলিশ চৌকি বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটর সাইকেলে টহল, ফুট পেট্রোল, অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি থাকছে গোটা রাজধানীজুড়ে।

রাজধানীর কয়েকটি থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে প্রত্যেকটি এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানার একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে পুলিশ পালা করে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাদের সহযোগিতায় সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে। বাসা-বাড়িসহ নানাস্থানে ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে রাতের বেলায় বাড়ানো হেয়েছে পুলিশি টহল। পুরান ঢাকা ছাড়াও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার জুয়েলারি মার্কেটে আছে পুলিশের কড়া নজরদারি। এলাকাভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্রগুলোও এ নিরাপত্তার মধ্যে আনা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/মাকসুদ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়