ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এমাজউদ্দীনের তিন শর্ত

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২০, ২৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এমাজউদ্দীনের তিন শর্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আগামী একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তিনটি শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ।

এজন্য সংসদ ভেঙে দেওয়া, বিএনপির নেতাদের মামলা প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় বসার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিমত প্রকাশ করেনে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে করতে হলে সর্ব প্রথম পদক্ষেপ হবে সংসদ ভেঙে দেওয়া। বর্তমান সংসদকে অক্ষুণ্ণ রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে বাতুলতা-অর্থহীন, নিরর্থক।

‘তা না হলে নির্বাচন যথার্থ হবে না। সব দেশেই এরকম হয়। সংসদীয় ব্যবস্থা জাপানে, কানাডা, ভারতে আছে। সব জায়গাতেই নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়’, বলেন তিনি।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি নেতাদের মামলা প্রত্যাহার করাকে দ্বিতীয় শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন এমাজউদ্দীন আহমদ।

‘বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার মামলায় ইনভলভ আছে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। সুতরাং এই আড়াই লাখ মানুষকে যদি ভোটের জন্য কথা বলতে হবে, তাই তাদের বিরুদ্ধে এ সকল মামলা-মোকদ্দমা হয় তুলে দিতে হবে। কারণ এর বেশিরভাগই মিথ্যা মামলা। আর যারা প্রার্থী হবেন তাদের তো ভোট চাইতে যেতে হবে। আর তা না করা গেলে নির্বাচন পর্যন্ত এই মামলাগুলোকে স্থগিত রাখতে হবে। এছাড়া কোনো পথ নেই। অনেক মামলা আছে যেগুলো তুলে ফেলা যায় না সেগুলোকে স্থগিত রাখা উচিৎ।’

এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করতে পারে মন্তব্য করে বিষয়টিকে তৃতীয় শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এই তিনটি শর্ত বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত এই বুদ্ধিজীবি।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ প্রধানমন্ত্রীকেই তৈরি করতে হবে। এটা বিরোধীদলের দায়িত্ব নয়। এটা ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব, এটা করতে যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে এই ব্যর্থতা জাতির ব্যর্থতা। জাতীয় পর্যায়ের ব্যর্থতা, এটা হবে জাতীয় পর্যায়ের লজ্জা।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জিনাপের সভাপতি মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৭/রেজা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়