ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে কাশ্মীর দখলের প্রস্তাব

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে কাশ্মীর দখলের প্রস্তাব

ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে যুদ্ধ করে পাকিস্তানের কাছ থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিনা উসকানিতে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও দলিত নেতা রামদাস আথাওয়ালে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ করে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর দখলের প্রস্তাব দিয়েছেন।

সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়নবিষয়ক ভারতের এই প্রতিমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘পাকিস্তান যখন তখন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। যদিও আমরা অনেকবার তাদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি, তবে এখন সময় এসেছে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নিষ্পত্তিমূলক যুদ্ধ করার। দেশটিকে একটি উচিত শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।’

বুধবার ভারতের রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ বক্তব্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর একটি উক্তি তুলে ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ে তার প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দেখান বিজেপির কট্টরপন্থি নেতা আথাওয়ালে।

মহারাষ্ট্রের এই  নেতা বলেন, ‘ভারত হলো বাঘ আর আমাদের সামনে পাকিস্তান হলো বামন। অটলজি যা বলেছেন, তাকে আমরা সূত্র হিসেবে নিতে পারি এবং পাকিস্তানকে সতর্ক করছি, তারা যদি আমাদের বন্ধুত্বের প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তাহলে আমরা হামলা চালাব।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই হামলা এতটাই ভয়ংকর হবে যে, অবৈধভাবে পাকিস্তানের দখল করা কাশ্মীরের অংশই শুধু ছিনিয়ে নেব না, ইসলামি প্রজাতন্ত্রেরও কিছু অংশও ছিনিয়ে নেব।’

সরদার প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী হলে পুরো পাকিস্তান আমাদের থাকত : মোদি
এ দিন পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দেওয়া ধন্যবাদ বক্তব্যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘যদি সরদার বল্লবভাই প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে আমাদের ভালোবাসার কাশ্মীরের একটি অংশ আজ পাকিস্তানের অধীনে থাকত না।’

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মোদি বলেন, ‘এই হলো সেই দল, যারা ভারত ভাগ করেছে। দশকের পর দশক একটি পরিবারের সেবায় পুরো শক্তি ক্ষয় করেছে একটি দল। একটি পরিবারের স্বার্থের জন্য সমগ্র জাতির স্বার্থ অবজ্ঞা করা হয়েছে।’

রাহুল গান্ধীর নাম উল্লেখ না করেই মোদি বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে আমরা কি নির্বাচন দেখেছি নাকি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের অভিষেক দেখেছি।’ ওই মাসে দলীয় প্রধান হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন রাহুল গান্ধী। মোদির বক্তব্যের সময় তিনি পার্লামেন্টে ছিলেন। বরাবরের মতো এবারও মোদি বলেছেন, গণতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসের ফরমায়েশ শোনার কিছু নেই। তবে তার বক্তব্যের নিন্দা করে রাজ্যসভায় স্লোগান দেন এবং চিৎকার করে প্রতিবাদ জানান বিরোধীশিবিরের আইনপ্রণেতারা।

পরে সাংবাদিকদের রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর মতোই বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকবার তার বক্তব্য থাকে কংগ্রেস ও কংগ্রেস-নেতাদের নিয়ে। জাতির সামনে এর চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে, যেগুলো নিয়ে তিনি নিশ্চুপ থাকেন। যেমন রাফায়েল বিমান কেনায় দুর্নীতি ও কৃষক ইস্যু...।’

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি অনলাইন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জানুয়ারি ২০১৮/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়