ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনী প্রচারে এরশাদ

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনী প্রচারে এরশাদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঢাকা-১৭ গুলশান, বনানী ও সেনানিবাস এলাকা থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নির্বাচনী তৎপরতার অংশ হিসেবে সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

সকাল থেকে নিজের জন্য লাঙল প্রতীকে ভোট চেয়ে এলাকার ভাষানটেক বাজার, দামালকোর্ট ও কচুক্ষেত এলাকা চষে বেড়ান প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপতি। কখনো নিজের গাড়িতে বসে কখনো খোলা ট্রাকে দাঁড়িয়ে নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দুই হাত নেড়ে এলাকাবাসীকে অভিনন্দন জানান। এলাকার উন্নয়ন, জানমালের নিরাপত্তায় তাকে লাঙল মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

সকাল থেকে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ ভাষানটেক বাজার, দামালকোর্ট ও কচুক্ষেত এলাকায় পৃথক তিনটি পথসভায়ও বক্তব্য দেন।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এসব পথসভায় বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। এই এলাকার এমপি ছিলাম, যখন চেয়েছেন কাছে ছুটে এসেছি। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক কিছুই করে দিয়েছি। আপনাদের সুখে-দুখে সবসময় সঙ্গে আছি। কথা দিতে পারি, লাঙলে ভোট দিলে শান্তি পাবেন। সরকার গঠন করে আপনাদের সেবা করতে চাই।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল বক্তব্যই হলো নির্বাচন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই জাতীয় পার্টি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কারণ জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু এখন তাদের কাছে গণতন্ত্র রক্ষা বড় নয়, নিজেদের স্বার্থরক্ষাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিচ্ছে। কে নির্বাচনে এল বা না এল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।’

সরকারের সমালোচনা করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে সুশাসনের খুব অভাব। যার কারণে গুম-হত্যা-ধর্ষণ হচ্ছে, কিন্তু বিচার হচ্ছে না। কিন্তু জাতীয় পার্টির আমলে এসব ছিল না। মানুষ শান্তিতে ছিল। আমরা মানুষের সেবা করার জন্যই রাজনীতি করি।’

‘আমি আবার ক্ষমতায় আসলে দুখী মানুষের পাশে দাঁড়াব, মানুষের মুখে হাসি ফোটাব,’ অঙ্গীকার করেন এরশাদ।

তিনি ভাষানটেকে সম্প্রতি পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। বস্তি নির্মাণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমতো সাহায্য করার ঘোষণা দেন। বস্তি পুনর্নির্মাণে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন এরশাদ।

এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। তিনি বলেন, ‘পল্লিবন্ধু এরশাদ দেশ ও জাতির সেবায় আপনাদের পরীক্ষিত নেতা। দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তার হাত ধরেই হয়েছে। আজকে তিনি ক্ষমতাই নেই বলে দেশে এত অশান্তি, হানাহানি, নিরাপত্তাহীনতা, খুন-ধর্ষণ। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা ১৭ আসনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন আমাদের চেয়ারম্যান। তিনি আগেও এমপি ছিলেন। এমপি না থাকলেও এখনো তিনি আপনাদের পাশে আছে। তাই আপনার কাছে লাঙলের জন্য ভোট চাই। আপনাদের সমর্থন চাই। পার্টির চেয়ারম্যান আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রাক্তন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, আব্দুল মান্নান, সাহিদুর রহমান টেপা, এস এম ফয়সল চিশতি, মেজর অব. খালেদ আখতার, আজম খান, এরশাদের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নুরুল ইসলাম নুরু, যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, আমির হোসেন ভূইয়া এমপি, শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আসরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়