খালেদার মুক্তি ইস্যুতে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে রাজপথে আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পতন ঘটানোই হবে আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু। আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে কি ধরনের আন্দোলন হবে। নরম আন্দোলন হবে না গরম আন্দোলন হবে।’
মাদক নির্মূল অভিযানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে এখন একটি মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষও জানে মাদকের মূল হোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদক ব্যবসা করে। কোন এমপি কোন মন্ত্রী এ ব্যবসা করে এসব সবাই জানে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রছায়া ছাড়া কোন মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। একই সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। অথচ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।'
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব।
দেশবাসীর উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীল নকশা খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেখেছে দেশবাসী। খুলনায় দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করেছে তারা। এখন গাজীপুরেও একই নীলনকশা করছে। তবে খুলনায় যা করেছে গাজীপুরে তা করতে পারবে না। কারণ, গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়।
তিনি বলেন, খুলনার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে সরকারের কূটকৌশল প্রতিহত করার জন্য আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকবো। এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হয়েছে। যেন আমরা গাজীপুর নির্বাচন থেকে সরে আসি। কিন্তু আমাদের সরানো যাবে না। শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকব।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বার বার যান। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা বাচার সমস্যা হলো তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোন আলোচনার বিষয়বস্তু আনতে পারেন না। কোনদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, ড্যাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম, ড্যাবের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন