নির্বাচনী বাজেট, বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই : বিএনপি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘নির্বাচনী বাজেট’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি।
দলটি বলছে, এর ভেতরে কিছু নেই। এটি একটি গতানুগতিক বাজেট। বিশাল অংকের এই বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা সরকারের নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৃথক অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বাজেট নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, যা বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৫ এবং মূল বাজেটের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের আর্থিক সক্ষমতা নাই, প্রশাসনিক দক্ষতাও নাই। আমরা মনে করি, এই বাজেট কোনো অবস্থাতে বাস্তবায়ন যোগ্য নয়। এটা লোক দেখানো বাজেট, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার বাজেট।’
পল্টনে মুক্তি ভবনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির ইফতার মাহফিলে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না দাবি করে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, রাজস্ব ঘাটতি পূরণের দায়িত্ব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপরে, প্রত্যেকের পকেট থেকে এই ঘাটতি পূরণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি জনগণের স্বার্থের বাজেট নয়। সরকার ঋণনির্ভর একটি বাজেট দিয়েছে। এতে জনগণের ওপর ঋণের বোঝা বেড়ে যাবে এবং দেশে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাবে।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বেশকিছু পণ্যের ওপরে স্থানীয় পর্যায়ে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, অনেক পণ্যের ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা যে ১১০০ ধরনের পন্য আমদানি করি তার ওপরে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। ই-কমার্সকে ভ্যাটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
‘অন্যদিকে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এর ফলে ধনীকে আরো ধনী করা হবে এবং দরিদ্র আরো দরিদ্র হবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট বিশাল একটি বেলুন, নীল রঙের বেলুন। কিন্তু এর ভেতরে কিছু নাই, ফাঁকা। এটি একটি গতানুগতিক বাজেট। তারা একটা আপসকামী বাজেট দিয়েছেন নির্বাচন সামনে রেখে।’
তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে সরকারের দূরভিসন্ধি রয়েছে। বিশাল বাজেট হলেই বিশাল উন্নয়ন হয় না। এর মধ্যে বিরাট অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বাজেট। যে সরকার বাজেট দিয়েছে আমরা তাদের বৈধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছি। এই সরকারের বাজেট দেওয়ার বৈধতা আছে কি না-সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। একটি অনির্বাচিত সরকারের এই ধরনের বাজেট দেওয়ার কী বৈধতা আছে এটা ইতিহাস একদিন পরীক্ষা করে দেখবে এবং তার রায় দিবে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুন ২০১৮/রেজা/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন