ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম ৩ গুণ

শাহীন রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ৬ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম ৩ গুণ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা জেলা সদর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে তিন গুণ হয়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

বাজার করতে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে ক্রেতাদের বচসা হচ্ছে। অনেকে মরিচ না কিনে বাড়ি ফিরছেন।

শহরের বড় বাজার ও উপজেলা সদরের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুক্রবার জেলা শহরের বড় বাজার, মাসুম বাজার ও সিঙ্গা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

জেলা শহরের বাইরে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি বাজারে এ সময় কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এরপর থেকেই দাম বাড়তে শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে প্রথম তিন দিনে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেলেও গত মঙ্গলবার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। জেলা সদরের টেবুনিয়া সবজির পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে এর চেয়েও বেশি দামে।

শুক্রবার সকালে সরেজমিন শহরের বড় বাজার ও আব্দুল হামিদ সড়কের ভ্রাম্যমাণ বাজার ঘুরে দেখা খেছে, ঝিঙ্গা, পটল, ডাটা, করলাসহ বিভিন্ন সবজিতে সাঁজানো প্রতিটি দোকান। ক্রেতারা সব কিছু স্বাচ্ছন্দে কিনলেও কাঁচা মরিচে এসে থমকে যাচ্ছে। হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে অনেকে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছে বিক্রেতার সঙ্গে। কেউবা দাম কমের আশায় ছুটছে অন্য দোকানে।

বড় বাজার থেকে দিলালপুর মহল্লার শামীম রায়হান জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগেও ৫৫ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছেন। সেই মরিচ এখন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ৫০০ গ্রামের স্থলে ১০০ গ্রাম মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছেন।

আব্দুল খালেক নামের এক শিক্ষক বলেন, “হঠাৎ করে এই দাম বৃদ্ধি হতভম্ব করে। বুঝেই উঠতে পারি না কেন এমন হয়। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে কিনতেই হয়। ”

বড় বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা মঞ্জুর আলম জানান, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের জমিতে পানি জমেছে। এতে জমির বহু গাছ মরে গেছে। ফলনও কমে গেছে। ফলে উৎপাদন কমে পাইকারি বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপর ব্যাবসায়ী কোবান আলী বলেন, পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে দাম কম-বেশি হয়। কৃষক দাম বেশি নিচ্ছে তাই বাজারে দাম বেড়েছে। এখামে তাদের কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার বলেন, বৃষ্টির জন্য ফলন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে বৃষ্টি কমে গেলে এমন থাকবে না। তখন ফলন বাড়বে, দামও কমবে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/পাবনা/৬ জুলাই ২০১৮/শাহীন রহমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়