ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘আ.লীগের প্রার্থীদের অফসাইড ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল বিএনপি’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৩১ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আ.লীগের প্রার্থীদের অফসাইড ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল বিএনপি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশব্যাপী আলোচিত তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ফুটবল খেলার অফসাইড ট্রাপে ফেলে ফায়দা নিতে চেয়েছিল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা।

তিনি বলেন, নব্বইয়ের দশকে বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলো প্রতিপক্ষের গোল ভণ্ডুল করতে নিজেরা সবাই ডিফেন্স থেকে মাঝ মাঠে উঠে আসত যাতে প্রতিপক্ষের ফরওয়ার্ড বা স্ট্রাইকাররা অফসাইড বিবেচিত হন। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীরা নিজেরাই পোলিং এজেন্ট না দিয়ে বা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করছে এবং দাবি করছে তাদের অনুপস্থিতে জালভোট দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়নি তা অস্বীকার করব না। তারপরও সিলেটে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বিজয় তাদের দাবির ভিন্ন কথাই প্রমাণ করে। তাছাড়া বিএনপির আমলে ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনের তুলনায় এই নির্বাচন অনেক স্বচ্ছ হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টু রোডে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত নির্বাচনী আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য জানান।

বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরবর্তী মনোভাবের সমালোচনা করে মেনন আরো বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগেই হেরে বসে ছিল বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। তার প্রমাণ নির্বাচন প্রচার নিয়ম অনুসারে বাড়িতে বাড়িতে ভোটার স্লিপ ও লিফলেট না দেওয়া, এমনকি প্রার্থী নিজেই নিজের ভোটার সিরিয়াল জানতেন না বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে রাজশাহীতে বিএনপি মেয়র প্রার্থী রাগ করে কেন্দ্রের বাইরে খোলা মাঠে সময় কাটিয়েছে। যাদের নির্বাচনী অভিজ্ঞতা আছে তারা এ ধরনের কৌশল সম্বন্ধে ভালই জানেন। এর মধ্য দিয়ে তারা কেবল এই নির্বাচনই নয় জাতীয় নির্বাচনকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাতে চাচ্ছে এবং তারা যদি সেই নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্তও নেয় তাহলেও আশ্চার্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান, ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সদস্য তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৮/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়