ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার : বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ১৩ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার খেলায় মেতেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মূলত শেখ হাসিনা বিএনপি দলটিকেই নিশ্চিহ্ন করার খেলায় মেতে উঠেছেন। তা না হলে তার গদি রক্ষা বিপজ্জনক হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। শেখ হাসিনার মনে ন্যুনতম সাহস নেই, আছে শুধু ভয়। ক্ষমতা হারানোর ভয়। বিল-কুল সব হারিয়ে যাওয়ার ভয়।’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, ’২১ শে আগস্ট বোমা হামলা মামলায় বিরোধী দলের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে উচিৎ-অনুচিতের নানা বিষয় রায়ের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে কিন্তু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া উচিৎ কিনা সেটা উল্লেখ করা হয়নি। তোমরা চুড়ি পরে থাকো, আমাদের ১টা মারলে ওদের ১০ জনকে মারতে হবে-বিরোধী দলের প্রতি এই বিপজ্জনক হুমকি কী একজন প্রধানমন্ত্রী দিতে পারেন ?’

‘সরকারের হুকুমে প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বিনা বিচারে মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে-এই হিড়িক কি উন্নয়নের নমুনা নাকি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ? এগুলো রায়ের পর্যবেক্ষণে না থাকলেও এর দায় তো বর্তমান সরকারের কাউকে নিতেই হবে’, বলেন বিএনপির এই নেতা।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সাগর-রুনীসহ ৩৩ জন সাংবাদিককে হত্যার দায় কার ? এটা কেন রায়ের পর্যবেক্ষণে আসেনি ? বোমা হামলা শুরুই হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। যশোরে উদীচির অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, রমনা বটমূলে বোমা হামলা, কমিউনিষ্ট পার্টির জনসভায় পল্টনে বোমা হামলাসহ অসংখ্য বোমা হামলা হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। তাহলে এগুলোর রায়ের পর্যবেক্ষণে এলো না কেন ? এগুলোর জন্য আওয়ামী লীগ কেন দায়ী নয় ?’

তিনি বলেন, ‘লক্ষীপুরের বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের হত্যাকারী সেখানকার আওয়ামী পৌর মেয়রের ছেলে বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী মন্ত্রীর জামাই, উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন বাবুর হত্যাকারীরা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মী। বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী। এমপি পুত্র রনি রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে গুলি করে দুজনকে হত্যা করেছে। আবার কয়েকদিন পরপর টেন্ডার দখল ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগরাও নিজেরা নিজেদের লোকদের হত্যা করছে, রক্তাক্ত করছে জনপদ। গণমাধ্যমে তথ্যানুযায়ী ছাত্রলীগের হাতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির ভাগাভাগি নিয়ে খুন হয়েছে ২৭ জন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের লোকদের কর্তৃক এত খুন-জখমের পরেও কি আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিৎ ? আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারের টিকে থাকার মূল ভিত্তিই হচ্ছে সহিংস সন্ত্রাস।’

এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে গায়েবী মামলার চিত্র তুলে ধরে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। তিনি মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ অক্টোবর ২০১৮/রেজা/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়