ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাজবে ঘণ্টা, মাতবে সিলেট

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাজবে ঘণ্টা, মাতবে সিলেট

ইয়াসিন হাসান, সিলেট থেকে : বিশ্বের ১১৬তম এবং বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে শনিবার অভিষেক হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের।

অভিষেক রাঙাতে বর্ণিল সাজে সিলেট স্টেডিয়াম না সাজলেও উপলক্ষ্যটাকে স্মরণীয় করে রাখছে আয়োজকরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টস করবেন বিশেষ স্মারক মুদ্রায়। টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে ‘ফাইভ মিনিটস বেল বাজিয়ে’। বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক আকরাম খান বাজাবেন সেই বেল। পাশেই থাকবেন সিলেটের দুই কীর্তি ক্রিকেটার রাজিন সালেহ ও এনামুল হক জুনিয়র। ঐতিহ্যর ধারক এ বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসব শুরু হবে সিলেটে। আঠারো হাজার ধারনক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম মাতবে ঘণ্টার ধ্বনিতে। এদিন সিলেটের টেস্ট ক্রিকেটারদের সম্মাননা স্মারক দেবে বিসিবি।
 


মাঠের উৎসব ঠিক তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকবে যখন মাঠের ভেতরে ক্রিকেটাররা জয় এনে দেবেন। উৎসবের উপলক্ষ এনে দেওয়ার মূল কাজটা ক্রিকেটারদের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্বপ্ন দেখালেন সেই উৎসবের,‘আমরা সবাই জয় দিয়ে উদযাপন করতে চাইব।’ কিন্তু অতীত রেকর্ড বলছে ভিন্ন কথা।
 


এর আগে সাত টেস্ট ভেন্যুর অভিষেকে ভালো কোনো অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের টেস্ট পথ চলা শুরু। ভারতের কাছে শুরুতেই হার। ২০১২ সালে সবশেষ অভিষেক হয় খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের। সেটাতেও হার বাংলাদেশের। এবার পুচকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অন্তত অতীতের রেকর্ড ভাঙবে বাংলাদেশ, এমন স্বপ্নই দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা।

ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ওয়াইটওয়াশ করে বেশ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। ওয়ানডের পারফরম্যান্স বাংলাদেশ নিয়ে আসতে চায় টেস্ট সিরিজেও। টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচ ম্যাচ, হেরেছে ছয়টি। ড্র হয়েছে তিনটি। বাংলাদেশের পাঁচ জয়ের চারটিই আবার শেষ চার ম্যাচে। তাইতো আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ টাইগার স্কোয়াডে।
 


আত্মবিশ্বাসী হলেও বাংলাদেশ স্কোয়াড উইকেট নিয়ে এখনও দ্বিধায়। নিশ্চিত হতে পারছে না অভিষেক ভেন্যুর উইকেট কেমন ব্যবহার করবে। তবে ধারণা পাচ্ছেন রান উৎসব হবে সিলেটের উইকেটে।

‘‘আজ (শুক্রবার) সকালে উইকেট দেখেছি। আগামীকাল সকালেও দেখব। কিছুটা ড্রাই আছে এই মুহূর্তে। মাঝে কিছু ঘাস রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা খুব একটা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।’’ –বলেছেন মাহমুদউল্লাহ।
 


উইকেট নিয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় একাদশ নির্বাচনেও ‘ঝামেলা’ পোহাতে হচ্ছে। মাহমুদউল্লাহর কন্ঠে পাওয়া গেল সেই সুর,‘আমরা দুই পেসার, দুই বা তিন স্পিনার আবার তিন স্পিনার বা এক পেসার নিয়েও খেলতে পারি। এখনও নিশ্চিত না, কাল উইকেট দেখে নিশ্চিত হব।’ তবে এক সূত্র জানাল, সন্ধ্যায় টিম ম্যানেজম্যান্ট ও অধিনায়কের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে এক পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে খেলার। সেক্ষেত্রে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন দুই নবাগত, নাজমুল হোসেন ও আরিফুল ইসলাম। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা আবু জায়েদ রাহীর। পাশাপাশি এ টেস্টের মধ্য দিয়ে ছয় টেস্ট পর কিপিংয়ে ফিরছেন মুশফিকুর রহিম।
 


সাকিব না থাকায় একাদশ সাজাতে যে ঘাম ঝরাতে হয়েছে তা স্বীকার করেছেন মাহমুদউল্লাহ,‘সাকিব সব সময় আপনাকে ব্যালেন্স এনে দেয়। সাকিব যেহেতু নেই তাই আমাদের এক্সট্রা ব্যাটার কিংবা বোলার নিয়ে খেলতে হবে। সাকিব থাকলে টিমের ব্যালেন্স নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হয় না।’

দেশের মাটিতে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। সিলেটের অভিষেকে মাহমুদউল্লাহর জয়ের অভিষেক হয় কিনা সেটাই দেখার। তবে প্রতিপক্ষকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বেশ সতর্ক। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চান না তিনি,‘প্রতিপক্ষকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া উচিত। তারা যথেস্ট ভালো দল। প্রথম ম্যাচে হয়তো আমরা তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা নাও করতে পারি। আমরা সেরা একাদশ নিয়েই খেলব। কারণ প্রথম ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’  

 

 

রাইজিংবিডি/সিলেট/২ নভেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়