ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঝরে গেলো এগারো নক্ষত্র

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঝরে গেলো এগারো নক্ষত্র

রাহাত সাইফুল : বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নে অনেক গুণী ব্যক্তিত্বের অবদান রয়েছে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের ফলে আজকের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। তাদের অনেকেই আবার এ বছর চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। নিয়তির এক অমোঘ নিয়মে তারা পাড়ি জমিয়েছেন না-ফেরার দেশে। মৃত্যুজনিত শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তবুও চিরাচরিত এ নিয়মে ২০১৮ সালে আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের স্মরণে এই বিশেষ প্রতিবেদন।

সিরাজ হায়দার : অভিনেতা ও পরিচালক সিরাজ হায়দার বছরের শুরুতে ১১ জানুয়ারি না-ফেরার দেশে চলে যান। ঐদিন সকালে রাজধানীর কল্যাণপুরের নিজ বাসায় স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়। সিরাজ হায়দার অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ৫০ বছরের বেশি সময়। তিনি যাত্রা, মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সমানভাবে কাজ করেছেন।

শাম্মী আখতার : খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী শাম্মী আখতার ১৬ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। রাজধানীর শাহজানপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন শাম্মী আক্তার। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ সিনেমার টাইটেল গান গেয়ে ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন শাম্মী।

কাজী আজিজ আহমেদ : খ্যাতিমান গীতিকার কাজী আজিজ আহমেদ ৩০ জানুয়ারি ভোরে শেরপুরে বড় মেয়ে কাজী বন্যা আহমেদের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। ‘চোখ যে মনের কথা বলে’খ্যাত এই গীতিকার একাধারে চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা এবং চিত্র পরিচালক ছিলেন।

জুটন চৌধুরী : বিনোদন সাংবাদিক জুটন চৌধুরী ১৭ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।দীর্ঘদিন যাবত কোলন ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন জুটন চৌধুরী।

আলী আকবর রুপু : বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলী আকবর রুপু ২২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না- ফেরার দেশে চলে যান। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন আলী আকবর রুপু।তার হার্ট ও কিডনিতেও সমস্যা ছিল।

রানী সরকার : চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানী সরকার গত ৭ জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।৮৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বার্ধক্য ছাড়াও পিত্তথলির পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

আব্দুস সাত্তার : চলচ্চিত্রের বর্ষিয়ান অভিনেতা আব্দুস সাত্তার ১৯ আগস্ট  না-ফেরার দেশে চলে যান।দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। গুণী এ অভিনেতা অসংখ্য টেলিভিশন নাটকে ও বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

আইয়ুব বাচ্চু : ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু ১৮ অক্টোবর সকালে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নগরীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ব্যান্ড দল এলআরবি’র  লিড গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী।

আনোয়ার হোসেন : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন ১ ডিসেম্বর  মারা যান। পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হেভেনের একটি রুমের দরজা ভেঙে আনোয়ার হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আমজাদ হোসেন : বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে স্থানীয় সময় ২টা ৫৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ট্রোক করলে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয় আমজাদ হোসেনকে। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, গীতিকার, সংলাপ লেখক, চিত্রনাট্যকার এবং একজন সফল অভিনেতা।

সাইদুল আনাম টুটুল : ছোট ও বড় পর্দার বরেণ্য অভিনেতা-নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ডিসেম্বর ২০১৮/রাহাত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়