ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জ্বালানিকে নির্ভরযোগ্য করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জ্বালানিকে নির্ভরযোগ্য করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ

সচিবালয় প্রতিবেদক : আগামীতে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ‘জ্বালানিকে নির্ভরযোগ্য করে তোলা’।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমাদের এখনও কাজ করতে হতে বিশেষ করে এফোরট্যাবিলিটি এবং রিলায়্যাবিলিটি (নির্ভরযোগ্য) করে তোলা। এই দুটি বিষয় নিয়ে আমাদেরকে আগামী বছরগুলোতে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব রিলায়েবল পাওয়ার সোর্স তৈরি করা।

মঙ্গলবার সকালে আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আবারও আপনাকে দিচ্ছেন কি না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ (হাসতে হাসতে) বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আমি যাস্ট দেখা করেছি। ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কে মন্ত্রী হবেন তা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো পরিকল্পনা নিতে হলে শর্ট, মিড এবং লংটার্ম পরিকল্পনা নিতে হয়। আমরা ইতিমধ্যে শর্ট এবং মিড টার্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্র্রায় শেষ করেছি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের লং টার্ম পরিকল্পনা সাকসেসফুল করা।

‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্র্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল পার্সন ডেভোলোপমেন্ট করতে করা আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের বড় বড় দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছে। ফলে আমরা ভবিষ্যৎ অনেক বেশি ভাল হিসেবেই দেখছি।’

‘তবে আমাদের কাজের মধ্যে অনেক সমস্যা ছিল, আমরা সমালোচনা নিয়েছি এবং ভাল আলোচনাও করেছি। আমি চেষ্টা করেছি সবকিছুর মধ্যে একটি সমন্বয় রাখতে। আশা করি আমি সেটি পেরেছি। আমার কাজ করার পিরিয়ডে প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের এক্সেস বেড়ে গেছে।’

‘আমাদের স্মার্ট গ্রিড তৈরি করতে হবে। এটা বড় একটি চ্যালেঞ্জ আগামীতে আমাদের জন্য। যদি আমরা স্মার্ট গ্রিড তৈরি করতে পারি তাহলে বিদ্যুৎ সেক্টরকে আরো ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।’

আগামীতে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে ভাল একটি পথ তৈরি হয়েছে। প্রাইভেট এবং ওপেন মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে রিলাক্স হয়ে গেছে। আর এটা আমাদের জন্য খুব সুসংবাদ। কারণ এখন আমরা ভারত থেকে অল্প মূল্যে বিদ্যুৎ আনতে পারবো। যেটা আমাদের দেশে উৎপাদন করতে গেল ক্যাপিটাল কস্ট অনেক বেশি হয়ে যায় এবং সময়ও অনেক বেশি লাগে, যোগ করেন নসরুল হামিদ।

‘আগামীতে আমাদের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ নেপালের উইন্টার শেসনে এক্সপোর্ট করতে পারবো। যেমন, আমাদের শীতের সময় আমাদের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অন্য দেশে এক্সপোর্ট করার পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছি।’

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৯/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়