ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাজশাহীকে হারিয়ে জয়ে ফিরল সিলেট

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীকে হারিয়ে জয়ে ফিরল সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: আগের ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সোহেল তানভীরের হাত ধরে জয়ে ফিরল সিলেট সিক্সার্স। রাজশাহী কিংসকে ৭৬ রানে হারিয়ে সিলেট বিপিলের তৃতীয় জয়ের স্বাদ পেল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে সিলেট ৬ উইকেটে ১৮০ রান তোলে। জবাবে রাজশাহী কিংসকে ১০৪ রানে আটকে দেয় সিলেট।

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে আজ জয়ে ফিরতেই হতো সিলেটকে। ৮ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল তারা। ডেডিড ওয়ার্নার চলে যাওয়ার পর ঢাকায় শেষ ম্যাচে তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সোহেল তানভীর। দলে অনিয়মিত খেলোয়াড়কে নেতৃত্বের ভার দেওয়ায় সমালোচনাও হচ্ছিল সিলেটকে নিয়ে।
 


শেষ পর্যন্ত তানভীরকে সরিয়ে সিলেটের অধিনায়ক করা হলো স্থানীয় ক্রিকেটার অলোককে। তার নেতৃত্বেই লড়াইয়ে টিকে থাকলে দলটি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে সিলেট ছিল অসাধারণ। ব্যাট-বলের দারুণ নৈপূণ্যে রাজশাহীকে পঞ্চম পরাজয়ের স্বাদ দিল তারা।

ব্যাটিংয়ে সিলেটের ইনিংসে ছিল সম্মিলিত প্রচেষ্টা। শুরুতে সাব্বির রহমান ৩ বলে ১ রানে ফেরার পরও লিটন ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় দ্রুত ২৪ রান করেন। মুস্তাফিজুর রহমান তৃতীয় ওভারে ফেরান লিটনকে। তৃতীয় উইকেটে জেসন রয় ও আফিফ ৬২ রানের জুটি গড়েন। এ জুটিতেই বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সিলেট।

সিলেটের জার্সিতে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই বাজিমাত করেন ইংলিশ ক্রিকেটার। ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪২ রান। তার ইনিংসটি থামান লেগ স্পিনার সেকুগে প্রসন্ন। লঙ্কান এ স্পিনারের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন রয়। আরেক প্রান্তে থাকা আফিফ সঙ্গী হারানোর পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৯ বলে ২৮ রানে ফেরেন রায়ান টেন ডয়েসকাটের বলে।
 


ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বলে ২ ছক্কা হাঁকানো নিকোলাস পুরাণ বেশিদূর এগোতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বীকে ওড়াতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে জঙ্কারের হাতে ক্যাচ দেন।  শেষ দিকে সিলেটের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন তানভীর। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১০ বলে ৪ চারে দ্রুত ২৩ রান করে দলের স্কোর ১৮০ তে নিয়ে যান। তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন কাপালি । ৭ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

বল হাতে রাজশাহীর সেরা ‍মুস্তাফিজুর রহমান। ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে উইকেট হারায় রাজশাহী। ঢাকায় শেষ দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো লরি ইভান্স ১ রানের বেশি করতে পারেননি। সৌম্যর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া মুমিনুল হক ৫ রানে আউট হন।

১৬ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন রায়ান টেন ডেসকাট ও ফজলে মাহমুদ। দলের রান ৪৫ এ নিয়ে যান তারা। অষ্টম ওভারে এ জুটি ভাঙেন অধিনায়ক অলোক। রায়ন টেন ডেয়েসকাট ১২ বলে ১২ রান করে বোল্ড হন এ লেগ স্পিনারের বলে। এরপর ফজলে মাহমুদ একাই দলের স্কোর টেনে নেন।
 


তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। দলীয় ৮১ রানে জাকির হাসান ১৭ বলে ১৬ রানে আউট হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় রাজশাহীর ব্যাটিং। ৮১ থেকে ১০৪ পর্যন্ত যেতেই ৭ উইকেট হারায় রাজশাহী। মার্শালের পরিবর্তে দলে ফেরা ফজলে মাহমুদ সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। ৪১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।

বল হাতে সোহেল তানভীর নেন ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ নাওয়াজ নিজের শেষ ওভারেই নেন ৩ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন ও অলোক।

অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সোহেল তানভীর।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৫ জানুয়ারি ২০১৯/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়