ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দুই আইনজীবীকে তলব, আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই আইনজীবীকে তলব, আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নয় কেজি ২৭৪ গ্রাম স্বর্ণকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫ হাজার ৩০০ রুপির মামলা দেখিয়ে জামিন করিয়ে নেওয়া আসামি মো. সিরাজুল ইসলামের (৪২) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারিক আদালত।

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমাম মঙ্গলবার হাইকোর্টের পরোয়ানার এ আদেশ দেন।

অন্যদিকে বিচারক মামলায় আসামির জামিননামা দাখিলকারী আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম এবং হাজিরা প্রদানকারী আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তলব করেছেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি এবং বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ওই আসামির জামিন বাতিল করেন। ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী ইবাদত হোসেন জামিন জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আনলে জামিন বাতিল করেন এবং বিচারিক আদালতকে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই আদেশ বিচারিক আদালতে আসার পর পরোয়ানা এবং আইনজীবীদের তলবের এ আদেশ দিলেন।

জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন পাওয়া আসামি সিরাজুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বসন্তনগর গ্রামের মোহাম্মাদ মোস্তফার ছেলে।

বিচারিক আদালতে আসা হাইকোর্টের ওই আদেশে দেখা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী ইবাদত হোসেন উল্লেখিত বিচারপতিদ্বয়কে জানান, ফৌজদারি বিবিধ মামলা নং-১৯৪৩৩/২০১৮ মামলায় জামিনের রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ফৌজদারি আপিল নং-৬৪৬৫/২০১৮ মূলে আসামি সিরাজুল ইসলামের ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই মামলার প্রকৃত ঘটনা গোপনপূর্বক জামিনের আদেশ হয়েছে। তখন বিচারপতিদ্বয় আইনজীবী মোহাম্মাদ সাইফুর রহমানকে তাৎক্ষণিক তলব করেন এবং তিনি এসে জানান, তিনি স্বর্ণের মামলায় নয় এবং ৩৫ হাজার ৩০০ রুপি পাচারের মামলায় জামিন করিয়েছেন। তখন আদালতের কাছে স্পষ্ট হয় যে, নয় কেজি ২৭৪ গ্রাম স্বর্ণের মামলাকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫ হাজার ৩০০ রুপি পাঁচারের মামলা দেখিয়ে জামিনের আদেশ নেওয়া হয়। এরপর বিচারপতিদ্বয় জামিন বাতিল এবং আইনজীবী ও তদবিরকারককে ব্যাখ্যার ওই আদেশ দেন।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই ওই আসামি জামিন পাওয়ার পর ২৫ জুলাই মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করে কারামুক্ত হয়েছে। কারামুক্ত হওয়ার পর তিনি গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২১ অক্টোবর এবং ১৭ জানুয়ারি হাজিরাও দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ৫ জুলাই রাতে ব্যাংকক থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা একটি ফ্লাইটের যাত্রী সিরাজুল ইসলামের দেহ তল্লাশি করে ৯টি স্বর্ণের বারে প্রত্যেকটি এক কেজি এবং দুই খণ্ড স্বর্ণে ২৭৪ গ্রাম উদ্ধার করে কাস্টম। ওই ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি) এর ১ (বি) ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর বিমানবন্দর থানার এসআই মেহেদী হাসান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। আসামি সিরাজুল ইসলামের স্বীকারোক্তি ভিত্তিতে চার্জশিটে একই এলাকার পলাতক মো. জালাল উদ্দন (৫০), সাইফুল ইসলাম (২৫) ও নরসিংদী এলাকার মো. সাজারুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়