ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

অপহরণ করে মুক্তিপণের চেষ্টা, ২ এএসআই গ্রেপ্তার

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অপহরণ করে মুক্তিপণের চেষ্টা, ২ এএসআই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা থেকে তিন যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের দুই এএসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার তার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার এএসআই মুশফিকুর রহমান।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার ও অপহৃতরা জানান, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রায়হান সরকার, লাবিব উদ্দিন, নওশাদ ইসলাম, তরিবুল্লাহ ও রাকিবুল রহমান পাঁচ বন্ধু বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার পথে প্রাইভেটকারে গ্যাস নিতে কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় শিলা-বৃষ্টি ফিলিং স্টেশনে যায়। এ সময় তরিবুল্লাহ ও রাকিবুল রহমান পাশের দোকানে চা খেতে যায়। গ্যাস নিয়ে কারটি ফিলিং স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে অভিযুক্ত ওই দুই এএসআইসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন একটি হাইচ মডেলের মাইক্রো নিয়ে গতিরোধ করেন। পরে কার থেকে রায়হান, লাবিব ও নওশাদকে জোর করে ধরে হাইচ গাড়িতে উঠিয়ে টঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার দেওড়া এলাকার নির্মাণাধীন উড়াল সড়কের নিচে নিয়ে যায়।

পরে তিন বন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার শর্তে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। টাকা নিয়ে দেন-দরবারের এক পর্যায়ে ওই দুই এএসআই ১০ লাখ টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এদিকে, চা খেতে যাওয়া তরিবুল্লাহ ও রাকিবুল বিষয়টি টের পেয়ে মোবাইল ফোনে কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে কালিয়াকৈর থানার ওসি বিষয়টি মির্জাপুর থানায় জানান। দুই থানার সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে মির্জাপুর থানায় এবং রাত ১২টার দিকে কালিয়াকৈর থানায় নিয়ে আসা হয়।

ওসি আলমগীর আরো জানান, নিজেদের বাঁচাতে প্রথমে ওই দুই এএসআই অপহৃতদের ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের প্রথমে প্রত্যাহার ও পরে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, অপরাধী যত প্রভাবশালীই অথবা পুলিশ সদস্যই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ, আমিনুল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/গাজীপুর/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসমত আলী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়