ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিআইডব্লিউটিএ : ২২০ সিদ্ধান্তের বিপরীতে নকশা অনুমোদন ৩৪৫

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৫ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিআইডব্লিউটিএ : ২২০ সিদ্ধান্তের বিপরীতে নকশা অনুমোদন ৩৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ২০১৮ সালে নতুন জাহাজের ২২০টি নকশা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে নতুন নকশা অনুমোদিত হয়েছিল ৩৪৫টির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অভিযানে এমন অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআেইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরে নতুন জাহাজের নকশা অনুমোদন, সার্ভে সার্টিফিকেট প্রদানে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার অভিযান চালায় সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া, ঘুষ ও বিভন্ন দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটসহ (বিএসটিআই) দেশের আটটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি।

দুদক টিম অভিযানে জানতে পারে, ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি থাকলেও, ১০ লাখ টাকার নিচে ম্যানুয়ালি টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।  ফলে এক্ষেত্রে অনিয়মের সুযোগ রয়েছে বলে দুদক মনে করে।  টিম সকল ক্ষেত্রেই ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি অনুসরণ করার সুপারিশ প্রদান করে।

অন্যদিকে, নতুন জাহাজের নকশা অনুমোদনে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক টিম জানতে পারে, ২০১৮ সালে ২২০টি নকশা প্রদানের সিদ্ধান্ত থাকলেও নতুন নকশা অনুমোদিত হয়েছে ৩৪৫টি।  এক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে মর্মে টিম প্রাথমিকভাবে অভিমত ব্যক্ত করে।  এ ছাড়াও, আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে ক্রম না মেনে যারা পরবর্তীকালে আবেদন করেছেন তাদেরও ঘুষ-দুর্নীতির বিনিময়ে তাদের আগে নকশা পাশ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

জাহাজের সার্ভে সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে অবৈধ অর্থ অর্জনের উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণ করা হয় বলেও দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।  সার্ভেয়ারদের কোনো রিপোর্ট প্রদানের বাধ্যবাধকতা না থাকায় তারা এ বিষয়ে স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নেন।  এক্ষেত্রে দুদক টিম, বিআইডব্লিউটিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে সুপারিশ প্রদান করে যে, সার্ভেয়ারদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

সোমবার বিএসটিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।  টিম ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে।

এ ছাড়া, এদিন বরগুনায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের তালিকা চেয়েছে দুদকের অপর একটি টিম।  আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহের তালিকা প্রণয়নপূর্বক একটি প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে।

অন্যদিকে, ঘুষসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয় দিনাজপুর সদর ভূমি অফিস, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, কিশোরগঞ্জ সদর এনআইডি কার্যালয় এবং শেরপুর ও বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ কমিশনার কার্যালয়।  অভিযানে অধিকাংশ জায়গায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও দুদক সূত্র জানায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়