ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ছাত্রলীগের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছাত্রলীগের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা-যশোর সড়কের সীমাখালী এলাকায় ভেঙেপড়া ব্রিজের (বেইলি ব্রিজ) পাশে চিত্রা নদীতে বাঁশের সাঁকো তৈরি করল স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সাঁকোটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে বলে পথচারীরা জানান।

সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ৩০ টন ওজনের পাথর বোঝাই দুটি ট্রাক ও একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে প্রায় ২০ ফিট নিচে চিত্রা নদীতে ভেঙে পড়ে ৫০ মিটার লম্বা বেইলি ব্রিজটি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় তিনজন আহত হয়।

ব্রিজ ভেঙে পড়ার দুই দিন পার হলেও যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়নি জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এতে কার্যত বিচ্ছিন্ন রয়েছে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি।

 


ভেঙেপড়া বেইলি ব্রিজের পাশে চিত্রা নদীর উপর স্থানীয় লোকজন বাশের সাঁকো ও নৌকায় পারাপারের ব্যবস্থা করে ব্যবসা ফাঁদেন। পার হতে মাথাপিছু তারা ১০ টাকা করে আদায় করছিলেন। নিরূপায় হয়ে টাকা দিয়ে চিত্রা নদী পার হচ্ছিলেন শত শত নারী-শিশুসহ লোকজন।

মানুষের এ দুর্ভোগে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। এলাকাবাসীর কাছ থেকে ৭৫টি বাঁশ সংগ্রহ করে আজ মঙ্গলবার দিনভর স্বেচ্ছাশ্রমে তারা নদীর উপর সাময়িক চলাচলের জন্য একটি সাঁকো তৈরি করেন। বিকেলে এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে পেরে এলাকাবাসী এর উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।

শালিখা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাঁকো তৈরি করেছেন। সাঁকো তৈরিতে তাদের কোনো খরচ হয়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি-দুটি করে বাঁশ সংগ্রহ করে নিজেরা সাঁকোটি তৈরি করেছেন।

সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুন্ডুসহ নেতারা সাঁকোটি দেখতে আসেন। তিনি সাঁকো তৈরির উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান।

বেইলি ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার পর মাগুরা থেকে যশোর যাওয়ার দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার কমে যাওয়ায় এটিকে সহজ পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা না হলে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ২৮ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে যেতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/মাগুরা/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়