ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গ্রন্থমেলায় ছুটির দিনে মিলনমেলা

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রন্থমেলায় ছুটির দিনে মিলনমেলা

আরিফ সাওন ও আবু বকর ইয়ামিন : সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি শিশুপ্রহর নির্ধারিত থাকায় শুক্রবার সকাল থেকেই বইপ্রেমীদের ঢল নামে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। পরিণত হয় লেখক, প্রকাশক, পাঠক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মিলন মেলায়।

সকালের দিকটা ছিল ছোট্ট সোনামণিদের আনাগোনায় মুখরিত। সকালে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছোটাছুটি, মা-বাবার হাত ধরে স্টলে স্টলে বই দেখা, বই কিনে তা হাতে নিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ায় খুদে বইপ্রেমীরা।

অভিভাবকসহ শিশুদের স্বাচ্ছন্দ্যে বই কেনার সুবিধার্থে বাংলা একাডেমি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার প্রতি শুক্র ও শনিবার শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১১টায় মেলার প্রবেশ গেট খুলে দেওয়া হয়। এদিনও ঠিক তাই হয়েছে। দ্বার খোলার অনেক আগে থেকেই অভিভাবকসহ শিশু-কিশোরদের দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে প্রবেশ গেটে।

আর বিকেল থেকে রাতঅবধি সময়টা ছিল বড়দের। বিকেলে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না।

মেলার এবারের ছুটির দিনটা বইপ্রেমীদের জন্য আরো নতুন আকর্ষণ নিয়ে এসেছে। মেলা সম্প্রসারিত হওয়ায় আগের চেয়ে অনেক খোলামেলা পরিবেশ ও প্রশস্ত গলি, স্টলের সামনে পর্যাপ্ত জায়গা। পাঠকদের আর কোনো রকমে নাম বলেই প্রিয় বইটি কিনতে হয়নি। সময় নিয়ে, দাঁড়িয়ে, দেখে, নেড়েচেড়ে বই কেনার সুযোগ মিলছে।

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন মেলা নিয়ে বলেন, এবারের মেলা খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে। দুস্টলের মাঝে বড় গলি, খোলা পরিবেশ, চওড়া জায়গা নিয়ে অসাধারণ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। পরিসর বৃদ্ধির এই সুফল পাওয়া যাচ্ছে। পাঠকরা দাঁড়িয়ে বই কিনতে পারছেন।

ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউজকে ঘিরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি অংশ আর ৭ মার্চের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আরেকটি অংশে বসে গ্রন্থমেলা। কিন্তু শুক্রবার পাঠক-ক্রেতার এতই সমাগম ছিল যে, শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর আর গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে যেন মেলা বসেছিল। মেলার দুঅংশেই ছিল উপচেপড়া ভিড়।

বই দেখা ও কেনার পাশাপাশি অনেকেই বিভিন্ন স্টলের সামনে ও কবি-লেখকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় ছবি তুলেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের।

প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি স্টলেই বইয়ের বিক্রি বেড়েছে আগের যে কোনো দিনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, আগামী যে কটা দিন আছে মেলায় সে সময়টায় বই বিক্রি হবে।

এ প্রসঙ্গে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জহিরুল আবেদীন (জুয়েল) বলেন, এবারের গ্রন্থমেলা অন্যান্য বারের চেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও পরিপাটি। পাঠকরা মেলায় এসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। এবার রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় ঢাকার বাইরের পাঠকরা মেলায় আসতে পারছেন। শুক্রবার বইয়ের বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারির পর থেকে মেলায় বই বিক্রি আরো বেড়ে যাবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাওন/ইয়ামিন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়