ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

এক জমিতে ৪ ফসল ফলনে সফলতা

মো. মনিরুল ইসলাম টিটো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২৪ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এক জমিতে ৪ ফসল ফলনে সফলতা

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফসলী জমি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা পূরণে কৃষি বিভাগের সর্বশেষ উদ্যোগ তিন ফসলী জমিকে চার ফসলীতে রূপান্তরে সফলতা পেয়েছে ফরিদপুরের কৃষকরা।

বিজ্ঞানিদের মতে, এই পদ্ধতি জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া গেলে অতিরিক্ত ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি) চার বছর আগে ফরিদপুরের তিন ফসলী জমিকে চার ফসলীতে রূপান্তরের কর্মসূচি নেয়। নানা প্রচেষ্টা নেওয়ার পর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানিরা রোপা আউশ, রোপা আমন, মুগ ও মুসুর চারটি ফসল আবাদ করে সফলতা পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর মাঠে চার ফসলভিত্তিক ফসল ধারায় ব্রি ধান ৪৮ এর উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে এ তথ্য দেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানি, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কৃষকরা।



সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কিংকর চন্দ্র দাস। এ সময় বৈজ্ঞানিক কর্মকতা এ এফ এম রুহুল কুদ্দুসের সঞ্চালনায় কৃষক সমাবেশে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. সেলিম আহম্মেদ, সিমিট বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. দীনবন্ধু পন্ডিত, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন  ইনস্টিটিউটের ফরিদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুতাচ্ছিম আহমেদ ও শেখ মো. কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে একই জমিতে ফসলধারা রোপা আউশ-রোপা আমন-মসুর-মুগ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেন উপস্থিত বিজ্ঞানিরা।  কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।

বিজ্ঞানিরা জানান, ফরিদপুর জেলার প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর ফসলী জমি রয়েছে, যার মধ্যে ৫০ হাজার হেক্টর তিন ফসলী জমি। এর মধ্যে নয় হাজার হেক্টর রোপা আউশ, রোপা আমন, মুগ ও মুসুর ফসল ধারার উপযোগী জমি। যা মোট ফসলী জমির ছয় ভাগ।

বক্তারা বলেন, এ ছয়ভাগ জমিতে রোপা আউশ, রোপা আমন, মুগ ও মুসুর সমন্বিত ফসলের ধারায় আবাদ নিশ্চিত করা গেলে অতিরিক্ত ১ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য অতিরিক্ত উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ কোটি টাকা।



রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৪ আগস্ট ২০১৭/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়